সেদিন যখন ঘরে ফিরলাম,
তাকে তারাদের দেশে ছেড়ে,


একাদশীর চাঁদ  উঠেছিলো,
তাকে বড্ড বিষণ্ণ দেখলাম
সে কাঁদলো আর দীর্ঘশ্বাস আমার বুকে!
শুন্য ঘর, স্মৃতিরা শুধু খেলা করে,
বুকের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত...
ডাইনিং টেবিলে পাশের সিট খালি!
শুধু ঝাপসা চোখের চাহনি সেদিকে,
গিলে খায় নিস্তব্ধতা...
এখন যেখানকার জিনিষ সেখানেই থাকে,
কারো দুষ্টু হাত আর কৌতূহল
মোটেই আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়না।
খেলনার উপরে পরে ধুলোর চাদর,
মাঝে মাঝে আমার আঁচল দিয়ে সাফ করি।
টেডিগুলোর নির্লিপ্ত চোখ অপেক্ষায় রত!
আইসক্রিম ওয়ালা বাড়ির সামনে
আর হর্ণ দিয়ে ডাকেনা,
জানলা দিয়ে সকালের রোদ আসে,
নেই কোনো ব্যস্ততা,
স্কুল ব্যাগ টিফিন ইত্যাদি।
নীরবে ব্যালকনিতে দাঁড়াই,
পথের পারে কে যায়, কে...
ও... বুঝি অন্য কেউ!
আসলে একই রঙের স্কুল ইউনিফর্ম,
তাই বারবার ভুল হয়ে যায়।
আজকাল চোখে বড্ড কম দেখি,
মনে থাকেনা অনেক কিছু,
সূর্যের রঙ বদলায় সারাদিনে,
আমি একই বিষণ্ণতার রঙ মাখি রোজ!!