পূবালী বাতাস মেলেছে পাখনা  ঝরঝর  করে ঝরে,
শুকনো নদীতে এসেছে জোয়ার দুকূল খুশিতে ভরে।


কদম ছড়াবে রূপের বাহার রজনীগন্ধা সুবাস,
ধরণীতে সুখে চম্পা চামেলী মাখছে ভেজা বাতাস।


নৃত্যের তালে বনের ময়ূর মেলেছে আজ পাখনা,
হৃদয়ের দ্বার খোলা রবে ওগো মন হারিয়ে যাকনা...


ধুলোর গায়ে সিক্ত পরশ সোঁদা মাটির গন্ধ,
মন বিহঙ্গ মেলেছে পাখা রয়না ঘরেতে বন্ধ।


গুরু গম্ভীর মেঘের কালোয় হানছে আলোর অসি,
অশুভ শক্তির ভীম দাপট চিরতরে যাক খসি।


সবুজের দল ছাড়ে নিশ্বাস সস্থি নেমেছে বনে,
আগুন ঝরা তপ্ত দিবস কাটছে বরিষ সনে।


চাককের বুকে মিটলো তৃষ্ণা মধুর সরস ধারায়,
প্রাণ খুলে তায় পাখ পাখালি খুশিতে নেচে বেড়ায়।


ঘনাবে আঁধার ভেকের ডাকে চারিদিক নিস্তব্ধ
কি যে শিহরণ জাগবে প্রাণে মাতাবে ঝরার শব্দ।


সেই আঁধারে একা যদি রও নয়তো কোনো দ্বিধা,
জোনাকীর আলো চোখেতে মেখে নতুন গান সাধা।


নতুবা সেই কবিতার খাতা, যেখানে পুতেছো হীরে...
জানবেনা কেউ  ঘন কালো রাতে সেথায় যাও ফিরে।