চাষা আমি, চেনো কি আমায়...
এ সভ্যতার দুই বলিষ্ঠ বাহু আমি…
ইতিহাস আমায় বন্ধু কহে।
চূর্ণ করি কঠিন মাটির চাঁই,
পালন  করি রোদ বৃষ্টি ঝড়ে আমার রোজ নামচা।
আমার লাঙলের ফলায় লালিত সবুজ ক্ষেত্র।
তোমাদের উদর ভরানোর কারিগর আমি,
রোজ আঁধার বসে সমস্ত মননে!
মাটির নীরবতা ভেঙে আসা অঙ্কুরে...
আমার আনন্দ তখন আকাশ ছোঁয়,
ঘাম আর ধমনীতে বহা রক্তে ধরণীর বোধন হয়...
আমার স্নেহে বাঁচে সভ্যতার উঁচু পাহাড়,
আমার উৎকণ্ঠায় সারা দেয় মাটি,
আমি কান পেতে রই!
আমার ঘরে কষ্টের লিপি মাটি বুকে বহে,
যত্নে সোনালী হয়ে ওঠে বারবার,
দিন আসে দিন যায়, মাঠ ফাঁকা হয়,
আমি জমাট অন্ধকারে…
দুহাতে তুলে দিই,আমার লালিত স্বপ্ন।
আমার ঘরের সব আলো জমা হয় ওদের ঝাড়বাতিটায়!
আমি  ক্রমাগত তলিয়ে যাই নিঃসীম আঁধারে…
চেনো কি আমায়...


কোনো বৈশাখের তপ্ত রাতে,
ফসলের উচ্ছিষ্ট দেহাংশের উপর
আমার অর্ধ নগ্ন দেহ,তারার পানে কথা কয়!
আমার উপোসী ঠোঁট  তবুও
আবার গেয়ে ওঠে, আয় বৃষ্টি ঝেপে...
ধান দেবো.. চেনো কি আমায়…