পরিচয় তোমা সাথে কোন মধু বেলা,
   ভুলেছি ক্ষণ রিদ্ধ মন তব সৃজনের মালা।
লিচু চোর,কাঠবিড়ালি, ভোর…  কবিতাটি,
   আবৃত্তি সাথে দাগ কাটে মনে পরিপাটি।
এলো কৈশর চুপে চুপে…অশান্ত কভূ মন
   রজনীগন্ধা সুবাসে দাঁড়ালে কে তুমি আপনজন!
সন্ধ্যা আকুল মন ব্যকুল বহে ঝরঝর ধারা…
   তুমি সুন্দর তাই চাহি... হইযে তোমাতে হারা!
শাওন রাতে শরণে আসে,বাহিরে বহে ঝড়…
   গাহি একাকী তৃষিত চাতকী আপন হয় পর।


বহে নয়ন ছন্দে নাচে তানপুরায় মোর আঙুল,
   কি অপূর্ব সৃষ্টির সাথে সঙ্কল্প  মিলে আমূল।
আজও তুমি নাড়িয়ে দাও প্রলয়ের শত আমি,
   ঘুড়ে দাঁড়িয়ে নটরাজ হই, হবই স্বর্গ গামী।
বলি উচ্চে, বিদ্রোহী বীর... নই রণে ক্লান্ত…
   কারার  বন্ধ কপাট ভেঙে তবেই সত্ত্বা শান্ত...
ধরি গান, বল সাথে... সাম্যের গান গাই,
   আমার পথে ধর্মের তরে কোনোই ভেদ নাই…
তুমি শুয়ে রবে ঠাণ্ডা ঘরে আমরা করিব শ্রম
   কর্মে এদেহ বানিয়েছি লোহা ভীত আদি যম।
তোমার কবরে একটি গোলাপ রাখি হয়ে নত
   শ্রদ্ধা জানাই অন্তর হতে হৃদে ভালোবাসা শত।


আমি গাই তারি গান  সপ্তমে গলা তুলে,
   বেদনা মাখানো ইতিহাস আজ কভূনা যাই ভুলে।
দুস্তর পথে যে রমনী হয়েছে একলা মাতা,
   অসীমের পথে চলেছে সাহসে ভক্তিতে নমি সেথা...


গাই আমি তারি গান…..


ব্যবধান  মাঝে ছেলের মা প্রতিদিন শ্বাস গুনে
   উদাসী দৃষ্টি বারে বারে শুধু আছরায় দ্বার পানে,
কত কথা, গান আছে হয়তো হবেনা বলা,
   মরনের দূত  বুঝি এলো দ্বারে  থামলো পথ চলা।
হৃদয় জ্বলা গন্ধ উঠছে  দেহ দহনের আগে,
   প্রতীক্ষায় তায় বৃদ্ধাশ্রমে মাতা প্রহর জাগে
আমি তারি গান গাই প্রিয়……


হোঁচট খেয়ে  পরেছি পথে নিজের নেই হেথা
   এলো চুল জীর্ণ পোষাকে কে  ডাকেগো মাতা...
বলি তারে কি তব নাম নিবাস কোথায় মেয়ে,
   হাতখানি ধরে তুলিলে আমায়  করুণ নয়নে চেয়ে।
দুটো হাত রাখলো পায়ে বলে যাযাবর আমি,
   চিনতে পারনি আমি সেই...  নয়তো আমরা দামী!
মায়ানমারে বন্দুক হাতে তারিয়ে দিল ওরা,
   কখনো আফগানিস্তান কখন… পথে পথেই মোরা!
তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেড়ায় নিবাস শুধু পথ,
   চাঁদ সূর্য ভাগে নিই নাইবা আসুক রথ।
আমি আজ তারি গান গায় শুধু …..


নতুন পথের যাত্রী ওরা দাঁড়িয়ে শীতের ভোরে,
   দুধের দাঁত সবে ভেঙেছে হাসিটা বিদ্ধ করে...
ছোট্ট হাতে চাঁয়ের গেলাস সম্মুখে তুলে দিলো।
   স্নেহের মুখ জীর্ণ বসনে ভারত ধাক্কা খেলো!
দেশ মায়ের ভোরের ফুল লুটায় কেন ধুলায়,
   বজ্র হয়ে হুঙ্কার  ছাড়ি সভ্যতার দেহ লুটায়!


আমিযে তারি গান গায় কবি …..


ষোলোতে পড়লো বেনারসি নিটোল দেহের গঠন,
   বর  এসে নিয়ে গেলো খালি বাপের উঠোন!
পরের বছর উঠলো মেয়ের বেজায় প্রসব ব্যথা,
   পরিনত নহে কাঁচা বয়েসে মা হবার কথা!
যে বয়েসে স্বপ্ন কথা... করবে আকাশ জয়!
   কিংবা বাধার হিমালয় ছুঁবে নেইকো মনের ভয়!
গোলাপ ছড়ানো দেহতে সে চির ঘুম অভিমানে,
   মায়ের প্রাণ বাপ সোহগী চললো শশ্মান পানে!
আমি চিরকাল গাইবো ওদের গান প্রিয়…


সারা দিন মনের সরোদে ধ্বনিত তব শ্লোক!
   বিশ্ব বিবেক নাড়িয়ে দিলে জয় তোমার হোক!!