সরস্বতী দেবীর জাগে স্বাদ
ঘুরতে হাওয়ায় সাঁঝের ছাদ,
হংসে চেপে সুখে তিনি
ভ্রমন করবেন জোছনা রাত।


দারুন ফাগুন চাঁদে মোড়া
সারি সারি জাগছে তারা,
ফুলের গন্ধে আকুল করা
বড় সুধাময় রাতের পাড়া!


হঠাৎ দেখেন কোথায় হংস?
যেছিল তার হৃদের অংশ,
গরবে ছিল তাদের বংস
হারালে মান হবে ধ্বংস...


হট্টগোলে মাতলো রাত
ভাইদের মাথে বজ্রপাত,
লক্ষীদেবীর কপালে হাত
খোঁজাতে তাই নেইতো খাদ।          


লক্ষীদেবী ধরে আসন
পেঁচাকে ধমকে করে শাসন,
কহেন খোঁজ বোনের বাহন
এখুনি চলেযা অশান্ত মন।


ছুটে কার্তিক ছুটল গনেশ
ফেলে রেখে মিঠে সন্দেশ,
পৃথিবীতে গেলো খবরটা শেষ
শোরগোলে সারাটা দেশ।


সরস্বতী আজ কেঁদে আকুল
তার রোদনে শিবজি ব্যকুল,
উমা বলেন ধৈর্য্য রাখুন
হবে উপায় এটা বুঝুন।


আরে, ওই বেকার ছেলেটি
জড়িয়ে ধরেছে হাঁসটিকে একি,
দেবেনা হাঁস না পেলে চাকুরী
হাঁসটিকে নিয়ে যাবেই বাড়ি!


বলে এতদিন কষ্টের শেষে
চাকুরীতে বাধা বাঁচবো কেমনে?
সন্ধ্যা ভ্রমিতে তোমার স্বাদ...
বোঝোনা জ্বালা রয় প্রতিক্ষণে।


আমরা মরব বেকার জ্বালায়
কেমন বিচার দুঃখ ভরায়,
মানবোনা আজ কোনো কথাই
ভারাক্রান্ত হৃদ ব্যথায়।


মৌন দেবী কহে ক্ষনকাল
পুরিবে মনোরথ হবেনা ছল,
তোর  শ্রম হবেনা বিফল
ধৈর্য্য হলো মানুষের বল।


কহিল বেকার না জোটে বস্ত্র
ভবিষ্যতে আঁধার স্পষ্ট,
চাকুরী নাপাই করে কষ্ট
হাঁসেতে ঘুড়বো প্রহর অষ্ট।


হাঁস ফেরত দেবনা তোমায়
যতই  দাও কষ্ট আমায়,
যদি নাপাই কিছু অভয়
জানি হবে জীবন ক্ষয়।


চিন্তায় মা হলেন সিক্ত
ভাবলেন মা বলছে সত্য,
কাজখানাটা বড়ই শক্ত
সে বেটাও হাঁসেরই ভক্ত।।