সূর্য বন্দনায় রত কর্ণ, জাহ্নবীর তীরে।
দিবস শেষের কিরণ তার শিরেতে পরে।
অসময়ে পাণ্ডব মাতা এলো পাশে তার,
অন্ধকার ঘিরছে ক্রমে নীরব চারধার।
বিস্মায়নে শুধালো সে, কেন হেথা মাগো?
এ যে ভীম রণক্ষেত্র! আমি শত্রু তব।
জননীরে নত হয়ে ভক্তি জোড় হাতে।
সুধালো কেন এলে, চোখে অশ্রু সাথে?
কি সংবাদ দেবে আজ, তাহা তুমি বলো,
কেন যেন মনে মোর ঝঞ্ঝা বয়ে গেলো।
মাতা কহে ক্ষমা কর ও পুত্র এ মায়ে...
তুই মোর জ্যেষ্ঠ পুত্র জানবিতা আগে।
কর্ণ কহিল মাতা, এ স্বপ্ন... সত্যিতে ভয়!
তোমা ছাড়া জীবন তাই বৃথা মনে হয়!
শত যশ পেয়ে আমি অতৃপ্ত  মনে!
শুধাবোনা মাগো আজ ত্যাজিলে কি কারণে,
শিশুকাল হতে শুধু, খুজেছি তোমায়!
সে প্রশ্নের  উত্তরতো, আজও ফিরে হায়।
তোমা ছাড়া সত্তা মম অপূর্ণ প্রতি ক্ষণে,
কেন আঁধারেতে আজি খুঁজি নিজ মনে!
তবে বলে যাও মাতা, আজি কেন এলে?
কেন এত যুগ পরে সব লজ্জা ফেলে...
সত্য হয়ে আছে মাগো, রাধা মোর মাতা।
আজ তাকে আমি কভু দিতে চাইনা ব্যথা!
ধর্মে আমি বন্দী রই বিধাতারই হাতে।
মুক্ত আমি হতে চাইনা এ শৃঙ্খল হতে।
আকাশের সন্ধ্যা তারা  যেন বলে যায়।
যুদ্ধের পরিণাম যা, ওই দেখিতে পাই।
তোমার পাঁচ পুত্রের ললাটে লিখা জয়!
এ পুত্রও তোমারি রবে জানবে নিশ্চয়।
রচেছে বিচ্ছেদ স্রষ্ঠা মোদের জীবনে,
বয়ে নিয়ে যাবে তাহা সুদূর মরণে!