পাগলীটা  স্কুল চত্বরে ঘুরাঘুরি করে,
জিজ্ঞেস করলে বলে  মেয়ে সেখানে পড়ে।
শেষ পিরিঅডের ঘন্টা  রোজ বেজে উঠে,
তখনো সে বসে থাকে স্কুলের ঐ মাঠে।
একে একে সব্বাই  ফিরে নিজ ঘরে,
সবার পরে দৃষ্টি  তার কাকে খুঁজে ফেরে...
সন্ধ্যা আঁধার ব্যাপে যবে ফিরে শুষ্ক মুখে,
হতাশার জলছবি বয়  দুখ ভরা বুকে।
পরদিনও পৌঁছায় সে বুকে স্বপ্ন নিয়ে,
নিশ্চয় বুঝি  দেখতে পাবে তার স্কুলে গিয়ে
এই ভাবে চলতে থাকে মাসের পরে বছর,
ক্লান্ত সে হয়না কভু ধৈর্য বাঁধা ওর।
কত কাল করে পার মিলবে সে নিশ্চয়!
একই তার রুটিনখানা স্বপ্ন নাহি শোয়!
রোজ এক দিদিমণি এসে বলে তারে,
তোমার মেয়ে কোন কালে চলে গেছে ঘরে...


স্কুলেতে এলো যবে সাংবাদিকের দল,
পাগলীটাকে দেখে সবে হয় কৌতুহল!
জিজ্ঞেস করে তার ইতি বৃত্তান্ত,
বুড়ি দিদিমণিটা বলে যতটুকু জানতো।
বলে সে স্নেহ ভরে হারিয়েছে সব জ্ঞান,
ও আমার ছাত্রীর মা দুখ ভরা প্রাণ।
বহু বছর আগে জ্বরে, হারালো তার মেয়ে,
ভাবে  এইখানে আছে তাই পথ চেয়ে।
রোজ এসে বসে থাকে মায়া ভরা আঁখি,
কাটালো সে আশা বেঁঁধে দিন নেই বাকি।
স্কুলের সব বাচ্চা তারে মা বলে ডাকে,
শুধু এইটুকু সুখ দিতে পারি তাকে...