শীতের শেষের দুপুরটা যেন
কোন নিরালায় ভরে,
ঝরা পাতারা উদাসী হাওয়ায়
মাথা কুটে মরে।
দিগন্ত জুড়া পলাস লালে
মনযে দূরে ভাসে,
নিখিলের কোন বেদনখানা
ভরায় দীর্ঘশ্বাসে।
অদৃশ্য কোকিল কাতর সুরে
ব্যথা ভরায় গানে,
মন উচাটন ঝরা মুকুল
ছোটে বাতাসের সনে।
রাখাল বাঁশি জড়িয়ে ধরে
নিশ্তব্ধ গভীর দুপুর,
খেয়া ঘাটে দুলছে ডিঙা
বাজেনা মনে নূপুর।
আয়না সই বস এখানে
মনের কথা কই,
ব্যথার আঘাতে পাথর হয়েছি
মানুষ আরতো নই।
যাকে তুই বাসবি ভালো
দেবে তোকে আঘাত,
কি করে তুই তাকে দিবি
কঠিন প্রত্যাঘাত।
ভালবাসা যদি দিস কাহারে
কথাটা রাখিস মনে,
বিঁধতে পারে তীক্ষ কাঁটাও
আঘাত পাবি সনে।
ভালবাসা ছড়িয়ে দে তুই
ভরিয়ে দে আকাশটাকে,
তার ভালোবাসা রামধনু হয়ে
মনের মধ্যে আঁকে।
বাতাসকে দিলে ছুটে যাবে সে
বলবে সবুজ দিগন্তকে,
দিগন্ত ওই রঙীন সুখে
ভরাবে সব প্রান্তকে।
তাকে দিলে নদীর বুকে
ছলকে ছলকে ছুটবে,
ঢেউ হয়ে ভুলাবে সুখে
জীবন ভরে উঠবে।
হাওয়ায় খেলবে নদীতে ছুটবে
ফুলে ফুটবে কিছু,
কবিতার কাছে রেখেদিস তুই
দুঃখ যাবেনা পিছু।
তোর ভালোবাসা জমা রাখ
নির্ভর কোনো রাতে,
সাবধান হয়ে মানুষকে দিস
শেষে রয়না ও সাথে।
মানুষকে দিলে পাবি ছলনা
প্রতিপদে পাবি দুঃখ,
প্রেমে স্রষ্টাকে কর পূজা
বিচার করবে সূক্ষ।