হলুদ আবীর ছড়িয়ে পরে লাল পলাশের গায়।
সারা অঙ্গে শিহরণ জাগে বহে দখিন বায়।
স্বপ্নগুলো প্রজাপতি সম ছুটে চঞ্চল আগে।
ধরতে গেলেও দেয়না ধরা গায় বসন্তরাগে।
শোন মাতাল ঝড়া পাতা ক্ষণিক আজি দাঁড়া...
আকুল পবন দিচ্ছে নাড়া হলাম দিশেহারা।
চল দুজনে যাই ভেসে সোনালি চাঁদের দেশে।
গান হয়েছে অনেক জমা বাঁশির সুরে ভেসে।
চাওয়া পাওয়ার হিসেবে তুচ্ছ নেইতো কোনো কাজ
পেয়েছি যা তাতেই সুখী খুশির পথে আজ।
অঙ্গ ভেজাবো  জোছনা ধারায় উঠবে বাঁশিতে গান
সে আসবে যমুনার পাড়ে উতলা আজি প্রাণ।
বৃন্দাবন তাই মাতলো রঙে অশান্ত মনেতে দোল
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে লাগলো কিযে হিল্লোল
অঙ্গের রঙ ধুইবে সে জলে যমুনা প্রতীক্ষা করে
পথের প্রতিটি ধূলিকণা আজি দেখবে দুচোখ ভরে।  
গাছের ডালের সাজানো ঝুলনা স্পর্শ পাবে তার...
মালাখানি মোর চরণ ছুঁবে রাখবো মাথার ভার,  
রাধা জন্মে অনেক দুখে হৃদয় দিয়েছে ভরে
বাঁশি হয়ে জীবনভর রইবো জড়িয়ে তারে।
আমি দগ্ধ সেই রাধিকা জলন্ত মোমবাতি।
তার নামে বিলীন হয়েছি স্বত্বার আহুতি।।