তুই কি আর আবেশ মোড়া
আঁধখানা চাঁদ মাখিস l
তুই কি আর স্বপ্নে তোর
আমার ছবি দেখিস l
তুইকি মনের ডাইরি পাতা
উল্টে কভু দেখিস ?
নতুন মাঝে চাপা পড়া
পুরোনো মুখ খুঁজিস l
তখন ছিলাম অষ্টাদশী
তুই বিশের কোঠায় l
মনের ভিতর নতুন সুখে
নিয়েছিলি তুই ঠাঁই l
মাতাল বাতাস রাতের চাঁদে
মনে ছিল আগুন l
প্রকৃতিও সাজিয়ে ডালা
ভরিয়ে ছিল ফাগুন l
কালো রূপের মাঝে আমার
কৃষ্ণকালো চোখে l
বুলিয়ে দিতিস স্বপন কাঠি
রঙিন পরশ রেখে l
পড়তে বসে হতো শুধু
বানানগুলো ভুল !
তোর মাঝে ভেসে যেতাম
ছাপিয়ে মনের কূল l
বেলীর মালা শুকিয়ে শুয়ে
অভিধানের মাঝে !
তোর তাতে মধুর পরশ
আজো মনে রাজে l
একমুঠো রোদ পেড়েছিলাম
মনের আকাশ থেকে !
ভেজাল তাতে ছিলনাতো
দিয়েছিলাম তোকে l
আজকে কেন সেসব কথা
মন উচাটন করে l
কতটা যুগ পেড়িয়ে গেছি
জীবন গলি ধরে l
আজোও আমি এ জানালায়
সেই পাহাড়টাই দেখি l
সহিষ্ণুতার চাদর মেলে
জীবনখানি ঢাকি l
চলে গেলি যেদিন তুই
আমার সীমা ছেড়ে l
স্টেশনপাড়ে বিদায় বেলা
আজও মনে পড়ে l
সূর্যর সেই রক্ত রশ্মি
দিনের বিদায় ক্ষণ l
রক্ত ক্ষরণ হৃদয়ে ছিল
অশ্রু ভেজা মন l
হাসি ছিল ঠোঁটের ডগায়
মাপতে পারিস নিতো l
কতটা দুখে কাঁদিয়ে গেলি
আঘাত দিলি কতো l
কথা তুই কেনরে দিলি
আসবি আবার ফিরে l
আজো আমার দৃষ্টিখানি
খোঁজে সহস্র ভিড়ে l
স্টেশনের ঐ অশথতলায়
দেখছি মেয়েটিকে l
কিজানি কি বলছে তার
পাশের ছেলেটিকে l
হয়তো তাদের মধুর প্রেম
রবে জীবনভর l
হয়তো প্রেমে লাগবে গ্রহণ
হবে তারা পর l
রাজা আসবে রাজা হারবে
চলবে কালের গাঁথা l
শেষেও কভু শেষ হবেনা
সাধারণ মেয়ের কথা ll