ওটা বেঙ্গা কৃষ্ণাঙ্গ এক জন্ম কঙ্গো গ্রামে,
অপহৃত হয়ে তিনি গেলেন অন্য ধামে।
মানুষ বলে বিবেচিত হয়নি ওদের খাতে,
তাইতো তিনি চুরি হলেন বীজন গভীর রাতে।
তাকে নিয়ে ব্যবসা করেন মনটা অতি নিচু,
চিড়িয়াখানার খাঁচার মাঝে কাটলো সময় কিছু।
বুঝিয়ে দিতে পারেনি সে তারও মন আছে,
বুকে তার জন্মভুমি, প্রাণ মুক্তি যাচে...
সাদা চামড়ার অসভ্যরা লোভ লালসায় ভরা,
তাদের কাছে মুক্তি পাওয়া হলোনা তার ত্বরা।
একদা এক সমাজ কর্মীর নজরে তিনি এলেন,
খাঁচার ভিতর শুষ্ক দেহে ওটা বসে ছিলেন।
তাকে ঘিরে আন্দোলনে মাতে হৃদি লোক,
ছাড়া পেয়ে জাগে বুকে মাতৃভূমির শোক।
লেখাপড়া শুরু হলো কাটে জীবন পথ,
পৌঁছে দিতে আপন ভূমি এলোনাতো রথ
ধীরে ধীরে বিষন্নতা করে তাকে গ্রাস,
বিশ্বযুদ্ধের আবহে সব পথে তখন ত্রাস।
ছিন্ন হলো যোগাযোগ দেশান্তরের স্বপন,
আত্মহত্যার বীজটা বুঝি মনে করলো বপন।
পেয়ে গেলো বন্দুক এক চোখ চিকচিক,
এবার সে পৌঁছে যাবেই নিজ গ্রামে ঠিক!
সশরীরে নাইবা হলো উপায়তো এক হলো,
উড়ে গেলো শরীর ফেলে এটাই বুঝি ভালো...
শ্বেতাঙ্গদের অত্যাচারের ওটা বেঙ্গা মুখ,
এমন কত মাটি চাপা ইতিহাসের দুখ।
মানুষ কেনো হয়না মানুষ বিছায় পথে কালি,
ক্ষমতাবান হলেই শুধু নিজ মুনাফা খালি।।