বলি এক সিঙ্গল মাদারের কথা
পরন্ত বিকেলের সাথে যখন সে নিজেকে মাপে
তখন নিজের ছবি দেখে দিগন্তে…
ঠিক একটা সূর্যের মতো  
নিজের সমস্থটা সারাদিন দিয়ে অস্তাচলে!
জানো এই সিঙ্গল মাদার হতে কি যোগ্যতা লাগে…
আমারও আগে জানা ছিলনা,
অকৃত্রিম ভালোবাসায় জন্ম ওই সিঙ্গল মাদারের উপাধি
এক পুরুষের প্রতারণায় জন্ম এই উপাধি!
তাই ভুলে থাকে প্রতারকের কথা...
বলে, যে চলে গেছে তার কথা মনের ডাস্টবীন খুঁজলে হয়তো পাবো,
তবে তাতে আর কোনো রঙ রবেনা!


আজ শুধু গল্প এক সিঙ্গল মাদারের,
ঊরসে তার আগমন বার্তায়  পুরুষটির আসল মুখোশ ধরা পড়লো,
সে সমাজের পিছন দরজা দিয়ে ভাগলো,
জানি এ গল্প বহুকালের পুরানো,তবু  শোনো
বলে গেল বোঝা বইবেনা…
যেমন কাপুরুষ হয়,অজুহাতে ছেদ পরলো সম্পর্কর...
পায়ের তলার মাটি বন্ধুর,
তবু সিঙ্গল মাদার জন্ম দিল সন্তানের।
তাকেতো ধ্বংস নিমেষে করা যায়
কিন্তু বাঁচাতে  লাগে এক সমুদ্র সজীব ঢেউ!


রাতের জড়ায়ু ছিঁড়ে জন্ম নিয়েছে সে, নাম দিল ভোর!
একটা অসম্পূর্ণ ভোর...
সিঙ্গল মাদারের মুখে হাসি
কিন্তু মনের মেঘলা আকাশ…
রোদ্দুর কোথায়!!!
সিঙ্গল মাদার কিন্তু আজ রোদ্দুর হতে চায়
ভরিয়ে দিতে চায় তার নতুন ভোরকে…
শুরু হয় প্রতি মুহূর্তের সংগ্রাম,
তার যোগ্যতা তৈরী হতে লাগলো কঠিন পথে প্রতিক্ষণে,
দুর্যোগের রাতে... তার ছোট্ট ভোরের গায়ে যখন উষ্ণতার পারদ চড়ে,
তখন মাদার একা... বিনিদ্র
ভোরের মাথার কাছে চুপচাপ বসে,
কিন্তু চুপচাপ থাকেনা তার রক্তের চাপ,কেবলই হয় ঊর্দ্ধমুখী
কখনো কান গরম কিংবা কখনো মাথা
কখনো নাখ মুখ দিয়ে বেড়োতে থাকে চাপ চাপ তাজা রক্ত!
হয়তো কোনো সিঙ্গল মাদারের ছুটি হয় তীব্র উৎকণ্ঠায়...
শিশুর বেড়ে ওঠার প্রতিপদের রক্ত চাপ
একাই হৃদয় দিয়ে গিলে ওই মাদার!
শত কষ্ট  ধারণ করে ঠিক মহাদেবের মতো!


কেউ কি তাদের কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়াও…
জানিনা...বরং তাকে কি করে পিছিয়ে দিতে হয়
মনোবল দগ্ধ করতে হয়,সেই কর্মে লিপ্ত হয় সমাজের কোনো মাথা,
দূর থেকে ভেল্কি দেখে কেউ কেউ...
এই সময় সত্যি যখন দরকার  ছিল তার আপন জনের
তখন সে দূরে মরীচিকা…
ওইসব মাদারের  যোগ্যতা মাপতে পারবে কোনো আইন!
যাদের প্রতিটি পদ দুর্গম ক্ষয়ে ভরা,
তাদের ভালো থাকা কিংবা
সেইসব ছোট্ট ভোরের  বাঁচার অক্সিজেন কোন গাছ দেবে…
সেই গাছ বুঝি এক রিক্ত শুষ্ক সিঙ্গল মাদার...
তবে তার ভোরের জন্য সে অবশ্যই অক্সিজেন হবে!