আমি এক ভেজা সন্ধ্যা...
দেখি সোনালি ডানায় ওরা ঘর ছাড়ে!
দেখি  নীল তারাদের হাহাকার,  
দেখি রজনী গন্ধার সুবাস ছড়ায়
গলির আনাচে কানাচে!
দেখি তুলসী তলায় প্রদীপ একাকী কাঁদে...
দেখি বারুদের গন্ধ ডিঙিয়ে বাবা ঘরে ফেরে!
দেখি রাস্তার বাঁকে একা অর্ধ নগ্ন শিশুর খেলা,
দেখি টেলিভিশনের পর্দায়  দিনের সব প্রান্তের  কথা।
কিছু কথা বাকি রয় যা দেখে আমার চোখ...
দিনের উপসী মা ছেলের জন্য অপেক্ষা করে বৃদ্ধাশ্রমে
আজ ওর জন্মদিন… এখন সন্ধ্যা!
দেখি বেকার ছেলেটির লাশ ভেসে ওঠে ঝুপসি আঁধারে,
কতগুলো পোকা খুবলে খাচ্ছে!
দেখি পণের ছোবলে রক্তাক্ত মেয়েটির মন শরীর!
আমার কবিতা আর গান গায় না, যখন দেখি
রাজতন্ত্রর পায়ের তলে গড়াগড়ি খায় অভুক্ত সভ্যতা...
আমর চোখ রাঙা হয় রোজ...
শহরের এতো আলোতেও আমি আঁধারে ঢুবে রই।
আমার শাড়িতে খোচিত লক্ষ তারা হীরে দ্যুতি দেয়না,
শুধু যুদ্ধের ধোঁয়া লাগে আমার সবটুকু মনে!
আমি যেন রাস্তার রকে বসে ঐ আড্ডা দেওয়া
ইয়ং ছেলেগুলোর মতো  আজ ছন্নছাড়া...
আমি প্রতিদিনের যুদ্ধে স্নাত এক ভেজা সন্ধ্যা!