সাংসারিক জঞ্জালের বাস্তবতায় আমি যখন অবরোধবাসী,
জানলা মাপের আকাশটায় অপেক্ষায় থাকে শশী ;
আমি যেন দেখেও দেখিনা তাকে।


অমাবস্যা,পূর্ণিমা,ঝড়-বৃষ্টির রাতেও সে দাঁড়িয়ে থাকে।
অভিমানের কালচে মেঘে মাঝে মাঝে মুখটা ঢাকে,
আবার তাকায়, উঁকি দিয়ে দেখে আমিও কি দেখি তাকে?
তাকাই?


আমি জানলার পর্দা টেনে দুই আর দুই এ পাঁচ মিলাই।
বিরক্ত তাই শশী,
ধেত্তেরি ছাই,
থাকবে না আর এই আকাশের অন্ধকার এক কোণায়
যেইখানে তার স্বপ্নে দেখা পুরুষপতি নাই।


আমি যখন সমস্ত জঞ্জালের মারপ্যাচ সামলে নিয়ে দুই আর দুই এ পাঁচ মিলাই বহুমাত্রিক বাস্তবতায়,
ভাবি একটু দাঁড়াও শশী,
এইতো আসছি আমি জানলার ওপাশে হবে আজ শুভদৃষ্টি।


দরজা খুলি,চোখ ফুঁটো হয় আলোক ছটায়।
তাকিয়ে দেখি সময়ের অবশ্যম্ভাবী ঘূর্ণনে হলো সবে ভোর,
শশীর সাথে হলো না দেখা,সে আজ অনেক দূর।


অপেক্ষার ও তো সীমা থাকা চাই!
দিন যায়, রাত যায়, বাবু বসে অংক মিলায়।
থাকতে পারলো না আর শশী।
আকাশ গঙ্গার অন্য পুত্র ডাক দিয়েছে তাকে,
সে অতো অংক বুঝেনা তবে ভালোবেসে ওকে আঁকড়ে  ধরে রাখে।
ছায়াপথের অন্য কোন প্রান্তে সে আজ।
আমি,অবরুদ্ধ সাংসারিক বাস্তবতায়,হারিয়ে তাকে দেখো করছি কেমন প্রলাপ।