উত্তর গোলার্ধে তখন হিমশীতল জানুয়ারি,
ঘোর অমাবস্যার কোন বিকেলের আলোকে আঁধারে ফেলে
সম্মুখে বসা এক অশরীরী নারী।
হঠাৎ, কালো মেঘের লজ্জা কাটিয়ে তাঁর হৃদয়ের উত্তর গোলার্ধে
১১.১° উত্তর অক্ষাংশে উদ্ধত বহিঃপ্রকাশে সগর্বে নিজের চিরন্তন অস্তিত্ব জানান দিলো
একটি কালো তিল!


সে ভূমিরুপ নিকট দর্শনে কিংবা স্পর্শে অনুভব কোনটাই হয়ে উঠেনি সেদিন,
হয়তো হবেও না কখনো।
দুই হৃদয়ের সীমান্তে কড়াকড়ির জন্য অনুপ্রবেশ সম্ভব হয়নি,
এমনটি নয়।
বরং আক্ষেপবিহীন আশ্বাস ছিলো চিরন্তন,
আমার হৃদয়ের দক্ষিণ গোলার্ধের নিভৃতচারী তিলটির প্রতিপাদ
কালো সে তিলের সার্বভৌমত্বও একদিন হবে আমার!


তখন হয়তো তন্ময় সে তিলের মায়ায়
তিলে তিলে ভালোবেসে মারা পড়বো,
কোন এক পূর্ণিমা রাতে, দুজনে এক সাথে।
তা অবশ্য এখনো হয়ে উঠেনি, যদিও হয়তো হবে না কখনো।