আমার কৈশর আমি ফেরত চাই,
যৌবনরুপী বার্ধক্য আমার লাগবে না।
আমার একটা কৈশর চাই;
দুরন্ত,দুর্দান্ত, অনন্ত কৈশর।


আমার ছেলেবেলা আমি ফেরত চাই,
অতশত বাস্তবজ্ঞান আমার লাগবে না,
আমার একটা শৈশব চাই,
অবুঝ,সবুজ,নিষ্পাপ শৈশব আমার চাই-ই চাই।


প্রেমিকার ভালোবাসা আমার লাগবে না,
মায়ের একটুখানি আদর আমার চাই;
সাথে বাবার বকুনিটাও আমার চাই,
আমার শৈশব আমি সত্যি ফেরত চাই।


পেটপুরে খাওয়ার পরও আবার মায়ের হাতে খেতে চাই,
বাবার পাশে লক্ষীছানার মত একটু খানি ঘুমোতে চাই।
বাবাকে জড়িয়ে ধরতে একটুখানিও অস্বস্তি হবেনা,
এমন একটা দ্বিধাহীন শৈশব আমার চাই-ই চাই।


ভাইবোনদের ঝগড়াঝাঁটিটাও চাই,
দুই ভাইয়ের কুস্তি খেলাটাও আমার চাই,
পাশের বাড়ির ফলচুর আমিই হতে চাই।


বিজ্ঞ-বুড়ো আমায় হতে হবে না,
আমার খালি একটা শৈশব চাই,নতুবা একটা কৈশর;
খামখেয়ালির কৈশর আমার চাই।


চিন্তামুক্ত আনন্দিত শৈশব আমার চাই কিংবা
অতি জেদি একটা কৈশর আমার চাই যেখানে
মাছের মাথাটা আমার চাই-ই চাই।


বেকার তরুণের দুশ্চিন্তার অনিদ্রা ফেরত নাও,
আসছে পূজোর আনন্দে নির্ঘুম রাত চাই,
কালকে ঈদ এই খুশিতে অনিদ্রা আজ চাই।


সত্যি বলছি,
তারুণ্য আমার চাই না,
তারুণ্য তো প্রছন্ন বার্ধক্যের প্রকট মূর্তি মাত্র;
আমিতো অতো বোকা না,
আমার শুধু আবেগী কৈশর চাই,
একটা দারুণ শৈশব আমার চাই;
পুরনো দিনগুলি আমার ফেরত চাই;
ফেরত চাই-ই চাই।