মেঘলা আকাশ হাতছানি দেয়
আমার বাড়ির পাশে,
একধারে তার রঙিন বাগান
রঙিন রঙিন ঘাসে।
বাড়ির পাশে গোলাপ, জবা,
শিউলি ফুলের গাছ,
সেথায় আমার রঙিন জীবন
কাটছে বারো মাস ।
পুকুরেতে লাল পদ্ম
আরও রাজহাঁস ভাসে,
তারও নিচে নানা রকম
মাছেরা হাসে ।
আম গাছ, জাম গাছ
কলা গাছ সেথায়,
এমন বাড়ি ছেড়ে
যাবো আমি কোথায়?
ভরদুপুর বেলা, বন্ধুরা মিলে-
পুকুরে করি খেলা ,
সাঁজ -সন্ধ্যা বেলা, উঠোনে আমার বসে
লাখো তারার মেলা।
পূর্ণিমার ঐ চাঁদখানা
দেখতে লাগে বেশ,
মনে হচ্ছে মা যেন তার
বেধে দিচ্ছে কেশ ।
বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে
আম কুড়ানোর ধুম ,
কার আগে কে উঠবে
নেইকো চোখে ঘুম।
আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে
মাছ ধরতে যাই ,
বৃষ্টির মধ্যে খই-চিড়া
মন ভরে খাই।
বারো মাসে ছয়টি ঋতু
আসে আর যায়,
মনের আনন্দে নেচে নেচে
দিন ফুরিয়ে যায়।
আমাদের দুষ্টুমি চলে
সারা গ্রাম জুড়ে,
পাব কি সেই দিনগুলো
আর কখনও ফিরে?
চাও যেতে কি আমার বাড়ি?
মেঘনা নদীর তীরে ।
ছোট্ট একটি বিল
রয়েছে তাকে ঘিরে।
নেই রাস্তা নেই ঘাট
তারপরও ভালো লাগে ,
সারা জীবন সেখানে
থাকার ইচ্ছা জাগে।
পূর্বপুরুষের সেই বাড়িটি
আমার একমাত্র স্মৃতি,
ছাড়তে চাইনা তবুও ছাড়তে হবে
এটাই জগতের রীতি।