আগুন যা ক্রমে ক্রমে নিভে আসছিল
শেষ বৃষ্টির আসায় ,এসে চলে যাওয়ায় শ্মশানের ছাইটুকু।
ভিজে শরীরে ঠিক আমার মত নিস্তব্ধ
এক অবসরপ্রাপ্ত পৃথিবীর সামান্য চলাচল ওই আগুন
আর কিছুক্ষণ তারপর সবটাই ছাই।


মনে হচ্ছে আমি স্বপ্নে ভাসছি
ছেলেবেলার সেই লাল ,নীল সব রঙিন পেন্সিল।
আমি ঘষে চলেছি মিশিয়ে দেওয়ার আশায় আরো রং
মা বলছে নষ্ট করিস না ,
ইশ দেখো নতুন পেন্সিলগুলো সব ছাই করে দিল।
আমি তখন সদ্যজাত পাখি
উড়তে চেষ্টা করছি পাখিদের সমাজে সবার সাথে ,
তার ওঠাপড়া ,ভাঙ্গাগড়া ,শেষে সেই ছাই।


পুড়ে যাওয়া কবিতার ডায়রির হাড় বের করা আকাশটুকু একটা জানালা
আমি জানালার বাইরে হাত বের করছি ক্রমাগত।
দূরে আরো দূরে সরে যাওয়া ম্যাজেন্ডা রঙের সময়গুলো ছেলেবেলা
নিচে গঙ্গা এই ছবির মতন একটা গোঙানি।
কেন জানি না জন্ম থেকে মৃত্যু আর মৃত্যু থেকে ছাই
সবটাই সমাপ্তি আমাদের চাই।
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে  দেখি আকাশটাকে
আবারও  বৃষ্টি এলো পোড়া যে এখনো বাকি।


আগুন যা ক্রমে ক্রমে নিভে আসছিল
আমি বুঁদ হয়ে বসে আছি দীর্ঘক্ষণ , চোখ বন্ধ।
আসলে অন্ধ, বুঝি না এই পোড়ার মানে বারংবার
জংলা রঙের পৃথিবীর জীবনে আবারও আমি ,
পুড়ছি কারণ মৃত্যুর পর তো সবটুকু ছাই।