শেষবার যখন সুখ এসেছিলো
মুখ উঁচিয়ে মুখিয়ে বসেছিলো মন জানালার গ্রীল
তখন আমার আটারো পেরিয়ে প্রথম ফাগুন উনিশ বসন্ত
কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ লুকিয়ে আমার মাদুর হীন উঠোনময়
দুরে গাববৃক্ষের ডালে প্রতিক্ষায় বসে আড়োষ্ট চিল।
তখন, আমার শরীরে টগবগে রক্ত,
উন্মাদ বাঁধভাঙা যৌবন সবেমাত্র পাখা মেলেছে
আর, তারপর স্বপ্নভগ্ন, আবার একা।


আমার এলোমেলো কবিতার পংক্তি শুনে
একদিন এক আনন্দ এসে পরশ দিতে চেয়েছিলো
ধরতে চেয়েছিলো আমার নগ্ন কাঁধ
খরস্রোতা নদীর মতো সব বিষ তলিয়ে
আলিঙ্গনে পিষে করতে চেয়েছিলো ভালোবাসায় আপ্লুত।


আনন্দের পর আরো একদিন ছুটে এসেছিলো উত্তুঙ্গ হাসি
কবিতার ছন্দে শুনিয়েছিলো
একে একে অনেক গুলো উচ্ছাসের সুরেলা গান
হাত ধরে দেখিয়েছিলো উঁচু উঁচু সব বাঁচার স্বপ্ন,
দেখিয়েছিলো নহর, অপ্সরী;
আর স্বর্গের সেই আট সোপান।


তারপর, কেটে গেছে কতো গ্রীষ্ম বর্ষা শীত
অকাল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বহু কবিতার শরীর
পাল্টে গেছে কাব্যের পটভূমি
অকালেই কতো ঝরেছে কত-শত বৃক্ষের পত্র;
ফাগুন আর আসেনি।
দুঃখই এসেছে রোজ পালা করে আমার দুয়ার।


১৭/০৭/২০২৩
ভেলোর, ভারত।