আমি যে রোজ কষ্ট করে তোমার জন্য
সকাল সন্ধা খাবার রাঁধি টেবিল ভরি,
তোমার পছন্দের সব ভর্তা ভাজি গাজর হালুয়া
চিংড়ি মাছের ঝোল বা ইলিশ পাতুরি।
ছোট টাকি মাছের চচ্চোরি সাথে শোক্ত
আর শেষে কিনা নিজ হাতে পাতা দই
খুঁজে আনা চিকন চালে ক্ষীর তাও পোক্ত।
একবারও কি যায় না বলা একটু হেসে
কেমন হয়েছে রান্না খানিক ভালোবেসে!
পাশে দাড়িয়ে চেয়ে তো দেখি খুব ভরাচ্ছো উদর
রুমালে মুছে হাত চলে যাও শুধু একটু কেষে।
রোজ যে তোমার জন্যে সাজাই দুয়ার পানের বাটা
বাঁশ বেতের চেয়ারটাও রাখি তোয়ালেতে মুছিয়ে,
অফিস শেষে বসবে বলে হাত পা ছড়িয়ে।
তোমার পছন্দের কাঁসার গ্লাস গরম জলে ধুয়ে
তাও রাখি সময়মত লেবুর শরবতে ভরিয়ে।
তোমার পরনের নোংরা আর কর্দমাক্ত সব কাপড়
ঘামে ভেজা গেন্জি আর ছোট অন্তবাস,
দূর্গন্ধময় মোজো আর জুতোর কালি
হাসি মুখে আমিই তো করি বারোমাস।
তোমার হাতে পায়ের লম্বা নখ রাগি লাল চোখ
আমিই তো দেখি এই অপদার্থ নারী।
ঘুমোনোর আগে হাতের কাছে ঔষধ পানি
বলার আগেই ঘুমোবে বলে টাঙাই রোজ মশারী।
বিকেলের নাস্তা দুবেলা কালো গাইয়ের ঘন দুধের চা
সাথে সদ্য তেলে ভাজা পছন্দের চিকেন সমুচা,
তোমার মুখ ধোয়ার পানি আর গোছলের গরম জলে
লাগে তো আমারই শক্ত হাতের ছোয়া,
তুমি কি আর দেখো কাঁচা লাকড়িতে কালো ধোঁয়া?
আমার চোখের জল থাকেতো শাড়িতে জরিয়ে।
ভারী নিষ্ঠুর তুমি, নিষ্প্রাণ একবারও কি যায় না বলা
"আজ সব থাক, চলো দুজনে আসি একটু বেড়িয়ে।"
২৩/১২/২০২০