আমার এখন দিন গুলো সব রাতের মতোন
অন্ধকারে ঠাঁসা,
সেথায় কেবল একটা আলো নীভু নীভু সন্ধ্যা তাঁরা
দূরের দেখায় দিশা!
বসন্তে এই ঝাউ বনে যেই মাদল হাওয়ায় জোছনা খেলে হোলি
এ পাড়ার ঐ মাখন রাখাল নিদ্রা হীনে দূরে তখন একলা বসে
আপন মনে সুর তুলে তার বাজায় মাতাল বাঁশি।
নদীর ধারে দু'পা তুলে চর নিলক্ষীর ভুবন মাঝি
আমায় ছাড়া দিব্যি হাসে রাজ্য জয়ের অট্টহাসি।
আমার কেবল অষ্ট প্রহর খোদার দেয়া ক্ষণ গুলো ঐ
বরফ ঠাঁসা কফিন বন্দী
ডাঙায় ফেলা জলের মাছে যেমন লাফায়! ছটফটানি!
মরার মতোন মৃত্যু দশা
আমার এখন দিন গুলো সব রাতের মতোন
অন্ধকারে ঠাঁসা।


আমি এখন বুঝতে পারি জলের ভেতর জলের মাছের কমছে বায়ু জীবন আয়ু
ধরতে পারি চোখ বন্ধ সব অন্ধকারে সুপ্ত রাখা আলোর জ্যোতি,
উষ্ঠাগত নিভু নিভু প্রাণ প্রদীপের
দক্ষিন দ্বারে ভর আবেগে যতোই লাগাও শুস্ক হাওয়া খোল পাতাতে
জ্বলবে না আর তেঁতায় উঠে বাঘের মতো আর কোনো এক অগ্নিশিখা
বুঝবে না কেউ খেই হারালে এই পৃথিবীর; কার-বা ক্ষতি!
আমি এখন যখন তখন খর কুটোতে সূর্য খুঁজি; দূরের দেখি আশা,
আমার এখন দিন গুলো সব রাতের মতোন
অন্ধকারে ঠাঁসা।


৩০/০৩/২০২৪ইং
ময়মনসিংহ।