মা টা কি তোর এতোই খারাপ
বাপ-টাকে দিস আদর?
মুখ টা ভরে বাবাই ডাকিস
বাপের করিস কদর।


বললে কিছু বাপের পিছু
ফুঁসে উঠিস জ্বলে,
ঘাম মুছে দিস খাবার খাওয়াস
ঔষধ টা দিস গুলে।


সন্ধ্যা রাতে আড্ডায় মেতে
তুলিস হাসির ঝড়
দু'জন বসে চাঁদ দেখে যাস
মা-কেই করিস পর।


বিশ টা বছর ঘর করেছি
তোর-ই বাপের সাথে,
মা ছাড়া তোর বাপ টা কে তুই
পেতিস কোথা হতে?


২০/০৮/২০২৩
ভেলোর, ভারত।


কবিতার পিছনের গল্পঃ হাসপাতালে বসে আছি ছেলের বেডের পাশে। ছেলের এক বেড পরেই কলকাতার এক ভদ্রলোক ভর্তি হয়েছেন চিকিৎসা নিতে। ভদ্রলোকের এক মেয়ে আর তার স্ত্রী এসেছেন সাথে। মেয়েটা বাবার সাথেই থাকে সবসময়। দেখাশুনা করে।
হঠাৎ উচ্চবাচ্য শুনতে পেলাম। স্ত্রী, ভদ্রলোক কে বলছেন, "তোমার মেয়েকে বললাম দোকান থেকে চা এনে খাওয়াতে। এসে বললো চা শেষ। কই আমি গিয়ে তো দেখতে পেলাম চা আছে।" ভদ্রলোক এমনিতেই অসুস্থ। সব শুনে তিনি আরো চুপসে গেলেন।
এদিকে মা মেয়েকে বকেই যাচ্ছে। আর মেয়ে চুপ করে শুনছে। নিরুত্তাপ, ভাবলেশহীন যেনো শুনতেই পারছে না মায়ের কথা। যা বুঝলাম, মেয়ে বাবাকে খুব ভালোবাসে। মা হয়তো বাবাকে কোন কারনে একটু বকাঝকা করেছিলো। ব্যাস্ মেয়ের তাতেই মায়ের প্রতি অভিমান।