. তীর্থের কাকের মতো প্রতিক্ষায় থাকি রোজ
চেয়ে দেখি সপ্তাহান্তে মধ্য গগন
ফুটেছে কোন পুষ্প! ভরেছে কার কানন?
আছে কি সোনা ঝরা রোদ্দুর,শিশির জমা জল
বহিছে কোথায় নির্মল বায়ু শান্ত সু-শীতল।
তোমাদের জমিনে শকুন চোখে খুঁজি নিষ্ফল
আমার ফসলের বীজ অঙ্কুরিত চারা,
পাই নিজের খোঁড়া কবর ক্ষয়ে যাওয়া ভগ্ন হাড়
পঁচা গলা মাংস শুকনো মৎস্য-বক্ষল; আর;
আর খুঁজি, পথ ভোলা পাখী নীল পরী
দুঃখ ভোলার ছল।
. অথচ সামনেই উড়ে
সুখী সারি সারি পাখি পাতি হাস সাদা বক
সাথে দাঁড়িয়ে মাছরাঙা টা দেয় শিস
তৃপ্তি ভরে পোহায় রোদ পুষ্প বৃক্ষল,
পাই উচ্ছ্বসিত বাগান মালী প্রজাপতি চঞ্চল।
আর আমার! খসখসে ত্বক কঙ্কাল দেহ
উগড়ে দেই উদর ভরা এঁটো ভাত অখাদ্য কুখাদ্য
যেনো বিপর্যস্ত বিধ্বস্ত আমি নেড়ি কুকুর
আড়ালে আমার চলে হাপিত্যেশ আর্তনাদ পিম্পল
যেনো জংলার ধারে আড়ালে নিভৃতে বসে
শিকার হারা বহুদিনের ক্ষুধার্ত বন্য শৃগাল।
০৫/০৬/২০২২
চট্টগ্রাম।