যেখানে সেখানে দৃষ্টি পড়লেই দেখতে হবে!
ড্যাব ড্যাব করে বেহায়ার মতো তাকিয়ে থাকতে হবে!
কে বলেছে আপনাকে?
অমন সুন্দর চোখটায় ধূলো পরতে পারে,
দৃষ্টি শক্তি লোপ পেতে পারে
রাস্তা ঘাটে, খোলা মাঠে যখন তখন যেখানে সেখানে হোঁটচ খেতে পারেন,
খোলা নর্দমায় পড়ে আপনার হাত-পা ভেঙে যেতে পারে,
এমনকি মৃত্যু ঝুঁকিও হতে পারে!
ঘরের অশান্তির কথা নাইবা বললাম।


দৃষ্টি আপনার কথা নাও শুনতে পারে,
মগজ বারবার বিট্টে করতে পারে,
তাতে অপরাধ আপনার না থাকলেও অপরাধী কিন্তু আপনিই হবেন।
ধরুন, রাস্তায় কোন রমনীর দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ,
না, আপনি তাঁর সুশ্রী মুখাবয়বের গালে কালো তীলে দৃষ্টি দেননি,
শুধু তাঁর স্বল্প বেশভূষা থেকে নজরটা ফেরাননি,
ব্যাস! এ অবস্থায় যদি আপনার মুরব্বি গোছের কেউ আপনাকে দেখে...!
তবে প্রেষ্টিজ বলে কিছু থাকবে? আমার মনে হয়না।
আর যদি বউ পাশে নিয়ে এই বাহাদুরিটা করেন!
তাহলে যে ভাগ্যে কি আছে,
সে রাত্রে বাসায় ফিরে হাড়ে হাড়ে টের পাবেন।
অতএব, সাবধান, দৃষ্টি সামলান।


আবার যদি অফিসে সুন্দরী সহকর্মীর দিকে তাকান
তবে মাস প্রথমেও গ্রীল নানরুটি আর কফির বিল দিতে দিতে
আপনার পকেট যে শূন্য হবার ভয় আছে তা জানবেন।
কিংবা ধরুন,
পাড়ার বড় ভাইদের চুরি ডাকতি ছিনতাই ইত্যাদি যতো বাহাদুরি আছে
তাতে যদি ভুল ক্রমেও আপনার চোখ চলে যায়
তবে আপনি গেলেন! ফাঁসলেন!
পরের দিন পত্রিকার প্রথম পাতায়
আপনার কালো চেহারার লাল ছবিতে হেডলাইন হবে,
"বেধড়ক মার খেলো পাড়ার উঠতি মাস্তান। "
অতএব, সাবধান, দৃষ্টি সামলান।


হ্যাঁ, দেখতে আপনি নিশ্চয়ই পারেন,
তবে সেটা পায়ের নিচের মাটি,
আর মাথার উপরের নীল আসমান।
দুটোই দরকারি। মাটি না থাকলে ঘুমাতে পারবেন না
আর নীল আসমানের নীচে বৃষ্টিতে ঘুম আসবে না,
অতএব, চারপাশে নয় উপরে নীচে দৃষ্টি দিন
শান্তিতে ঘুমান।
০৯/১২/২০২১.
ফেনী।