সম্রাট তুমি শক্তিধর এই পৃথিবীর,
অকল্যানে যার হস্তে উঠে তলোয়ার নিশানায় ছুঁড়ে তীর,
কে এমন রহিয়াছে বীর পুরো ধরীত্রীর
তোমারে হারিয়ে বাহুবলে
তোমারই সম্মুখে উচ্চ স্বরে উচ্চ করে শির?
কাটিয়া মুন্ডু দলিয়া পদতলে
যে তুমি শত্রুর বুকে হানো জোরসে আঘাত
মিশাইয়া মাটিতে তাহারই স্বপ্ন তুমি ভূমিতেই করো ধূলিসাৎ
কি দুঃসাহস ঐ মানুষী মানবের!
পাহিবে বলিয়া পাওনা কোন জনমের
তোমারই চাহিয়া সাক্ষাৎ
বীরের মতো তোমার-ই দুয়ারে করিয়াছে কড়াঘাত!
ঝরাইয়া রক্ত বহিঃশত্রুর
তুমিই নাকি চরিতার্থ করিয়াছো ক্রোধ জিঘাংসার
বয়সী এক বয়োঃবৃদ্ধার!
রমণী তাঁহার-ই অবলা অনাথ নন্দিনী,
শত্রু করিয়া ধ্বংস তুমি হাসিতেই পারো ক্রুর হাসি
রচিতে পারো ইতিহাস, পুরাণকাহিনি।
কেবল জিজ্ঞাসা, কেন তরবারী তোমার
করিয়াছে পৃথক ভালোবাসা ঐ মহান পিতার?
পারিবে কি দিতে কোন কালে তাহারে বক্ষ ভরে
পিতৃহীন তনয়ায়, পিতৃ স্নেহের হিস্যা?


৩১/০৫/২০২২
চট্টগ্রাম।