সেদিন রাতে শ্রাবণ ঝড়ের বজ্রপাতেই শুরু
গোয়াল ঘরেই হরির মরে, জ্যান্ত দু'খান গরু!
শুনে হরি মূর্ছা গেলো, বুঁজলো দু'খান আঁখি
বউ আর ঝিয়ে কান্না করে, উড়লো বুঝি পাখি!


পাড়ার লোকে হরির মুখে, পানির দিয়ে ঝাপটা
শুঁকায় নাকে গোবর গরু, জুতোর পচা ভাপটা।
পরের ছেলে গরম তেলে, বুকটাতে দেয় ঢলে
"শোকটা সয়ে আছি বেঁচে" তাও উঠে না বলে।
ভয় দেখালো, "বদ্যি আনো, হরির ভাঙো কড়ি
নয়তো ব্যাটা তুলবে পটল, যাবে যমের বাড়ি।"
তবুও হরির চোখ খুলে না, মেঝেই থাকে পড়ে
শেষে সবাই হাল ছেড়ে দেয়, পিছু হটলো ডরে।


কান দিয়ে যেই হরির বুকে সতীশ শুনলো শব্দ,
বুঝলো ব্যাটা ভং ধরেছে করতে হবে জব্দ।
"শুনে এলাম বলছে ঢুলী, সঙ্গে বাজায় ঢোলটা
বজ্রাঘাতে মরা গরুর, লক্ষ টাকা দামটা।
সরকারি দান পয়সা পেতো, থাকলে বেঁচে হরি।"
অমনি ব্যাটার প্রাণটা ফিরে, চোখটা উঠে নড়ি।


০৪/০৮/২০২৩
ভেলোর, ভারত।