আমরা যখন কোটি টাকায়
করছি প্রজেক্ট ভরছি পকেট,
উন্নয়নের জাবর কেটে
কিনছি সোনা পরছি লকেট।
                    মেট্রোরেল আর ফ্লাইওভারে
                    ভরেই ঢাকা তুলছি ফেনা,
                    ডাবল বেডের এপার্টমেন্টও
                    কোটি টাকায় যাচ্ছে কেনা।
শীতল রুমের সোফায় বসে
চিকেন ফ্রাইয়ে দিয়ে কামড়,
নিয়ন আলোয় সুরার পানে
লাগছে যখন দিনটা গোমর।
                    আরেক প্রান্তে পিতা তখন
                    ঘুরছে দারে লাশটা লয়ে,
                    পকেট ফাঁকায় লাশের গাড়ি
                    নেয়নি তারে ক্ষতির ভয়ে।
পিতা তাই, ছেলে কে তার ব্যাগেই ভরে
              ফিরছে বাড়ি অশ্রু ছাড়ি,
ওহে দেশ, আর কতো তোর উন্নয়নে
              পিতা পাবে লাশের গাড়ি?
ওহে দেশ, আর কবে তোর জাগবে বিবেক
             দেখবি চেয়ে মুখোশ ছাড়ি?


২৮/০৮/২০২৩
ভারত, ভেলোর।


কবিতার পিছনের গল্পঃ দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পাঁচ মাসের এক শিশু বাচ্চা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। এই দম্পতির অপর এক জমজ বাচ্চা তখনও আরেক হাসপাতালে ভর্তি। অভাব যাদের নিত্য সঙ্গী। ছেলের লাশটা বাড়ি নেয়ার এম্বুলেন্স ভাড়ার সাত হাজার টাকা তাদের কাছে তখন অনেক টাকা। তাদের এই অপারগতার কথা জানালেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ নাকি কোন ব্যাবস্থাই নেয়নি। অগত্যা, বাবাকে তার ছেলের লাশ টা ট্রাভেলিং ব্যাগে ভরে ভয়ে ভয়ে দূরপাল্লার বাসে করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। কতোটা মর্মান্তিক এই খবরটি! কতোটা নির্মম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো তখন পিতার মনে!
খবরটি জানাজানি হলে পত্রিকায় আসে। অনেকের টনক নড়ে। আমার মনে হলো, দেশের এতো এতো উন্নয়নেও কেনো অভাবী মানুষ গুলোর ভাগ্য খুলে না!