মা জননী, বধির তুমি?
পাওনা শুনতে অট্ট হাসি নিরব চোখের কান্না?
নাকি তুমি ইচ্ছে করেই খোঁজ রাখো না
চোখ বুঝে রও
হেসেল ঘরে আপন মনে নিজের করো রান্না?


সবুজ মাঠে তেলের এখন নিরব বিপ্লব
কৃষকের তাই পকেট স্ফীতি, উর্ধগতি
আর আমাদের! মরার সময়; অভুক্ত রয় পেটের ক্ষুধা
কাকের মতো ছুটে বেড়াই এদিক ওদিক
খুঁজে সেথা উদ্বৃত্ত আর আবর্জনা
স্মরণ কেবল পকেট শূন্য মৃত্যু ভীতি!


চাল কিনি তো ডাল পারি না
বিবেক বেচে মুরগি জবাই
ঝালুন ঝোলে পেট পুরাবো তাও ভাবি না।
পকেট শুকায় পেটের মতো তবুও আশা হাল ছাড়ি না
দুর্ভিক্ষে ঘর পুড়বে যখন
ঘুম টা তোমার ভাঙবে জানি আপনা আপনি
সেদিন তুমি তুলো কানে শুনতে পাবে আমজনতার চোখ রাঙানি
সাদা চোখে দেখতে পাবে
পাহাড় তলের ধূলোবালি কাঁকর খনি
শৃঙ্খল বন্দি গোলাম বাদী টানতো যারা শ্রমের ঘানি।


মা জননী, বাঘ ভাল্লুক এখন যারা দেয় পাহারা
সাবধানে রও;
বিপদ দেখে একদিন এরা সটকে যাবে।
সুযোগ পেলে শিয়াল শকুন তারাই আবার খাবলে খাবে
গাইবে না গান ঘুম পাড়ানি।


০৫/১১/২০২৩
চট্টগ্রাম।