মাঝে মাঝে আমি হাঁটতে পারি না
জনশূন্য নির্জন পথেও মন্থর হয়ে যায় চলার গতি
ভাবছো, পথ চিনি না?
বয়স হয়েছে, লোপ পেয়েছে স্মৃতি?
তা নয়।
অথচ চশমা চোখে সোজা পথটাও বড্ড অচেনা মনে হয়
কাছের গন্তব্যটাও হঠাৎ হঠাৎ
স্বর্গের মতোই যোজন যোজন দূরের ঠেকে।


মাঝে মাঝে আমার টান টান পায়ের অস্থি
আমার ইচ্ছে বিরুদ্ধেই বেঁকে বসে,
সামনের মসৃণ পথটাকে পুলসিরাতের মতোই ভয়ংকর লাগে।
ভয় পাই; যদি কাঁটায় বিদ্ধ হয় পায়ের আঙুল
যদি রক্তচোষা জোঁক জেঁকে বসে পায়ের শক্ত পেশিতে
যদি কামড়ে কামড়ে ছিন্ন করে টেন্ডন!


মাঝে মাঝে আমি হাঁটতে পারি না।
তৃষ্ণার্থ চাতক পাখির মতো নিষ্পলক চেয়ে থাকি উর্ধপানে
শরীরের বিন্দু বিন্দু লবনাক্ত ঐ ঘামের ফোঁটা
টপটপ করে ঝরে শরীর বেয়ে।
সামনে দেখতে পাই পদ্মার মতো প্রসস্থ নদীর জল
উত্তাল ঢেউ, ধপাধপ্ আঁচড়ে পরে মনের ভেতর
ডুবিয়ে দেয় পা থেকে কন্ঠ অবধি আস্তে আস্তে।


মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি,
ভুলে যাই আমার অতীত বর্তমান সুন্দর ভবিষ্যৎ
তখন আর আমি সত্যি হাঁটতে পারি না
দাঁড়িয়ে থাকি নিশ্চল।


০৭/০৫/২০২৩
চট্টগ্রাম।