যে তুমি মিনতি ভরা কন্ঠে মেঙেছিলে ভিখ,
স্বদলবলে চেয়েছিলে আস্থা,
বলেছিলে দিন বদলের স্বপ্নীল ঘোড়া
একদিন নিশ্চয়ই লুটোপুটি খেলবে আমার বাগানময়
আর আমি বোকা অন্ধের মতো তোমার দুহাতে তুলে দিয়েছিলাম
আমার সাঁইত্রিশ বছরের তিলেতিলে গড়া বিশ্বাস।


তারপর একদিন ভুলোমন তোমার, সব ভুলে
তুমি আমার আবেগ নিয়ে খেললে
দলছুট বলগা হরিণের মতো একাকী এসে
"লুটে নিলো, লুটে নিলো" বলে চিৎকার করে মাথা ঠুকলে
করলে আর্তনাদ,
আর তা কর্ণছেদে পৌঁছে গেলো টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া
পূর্ব পশ্চিম, দক্ষিণে রাঙাবালী পার হয়ে আন্ধারচর
আমার কাঁপলো খুঁটি মাটির ঘর
তুমি জিতে নিলে আমার সমস্ত আবেগ অনুভূতি অনুরাগ;
তারপর তুমি বসলে তোমার কাঙ্খিত মসনদে
ভালোবাসার উর্বর ভূমি আমারই বুকের উপর।
"ক্ষুধা ক্ষুধা" বলে বুকের জমিনে
সবার সম্মুখে সুকৌশলে তুমি বাইলে মই নাঙল জোয়াল
আড়ালে করলে বীষবৃক্ষ নীলের চাষ
আর আমি চোখ বন্ধ করে
একটু একটু নিংড়ে দিলাম শ্রমের সার ভালোবাসার লাল নির্যাস,
তুমি ভোল পাল্টে অনায়াসেই দখল করলে আমার হৃদপিন্ড, যকৃত ফুসফুস
তারপর হঠাৎ একদিন ডাকাত সেজে
প্রকাশ্যে গিলে খেলে আমার পুরো মাথা মগজ শিরা উপশিরা।


আজ যখন ভাঙতে গেছি খাঁচা তোমার ডিমের খোলস
তুমি কেড়ে নিলে অধিকার, চেপে ধরলে টুটি
আমাকেই আমার ঘরে দিলে বনবাস!
বন্দুকের ঢগায় কন্ঠ দমিয়ে রাখা যায় ক্ষণকাল
হয়তো-বা দুইশ বছর শাসন করা যায় ফসলের মাঠ
কিন্তু লক্ষকোটি জনতার মন?
স্বৈরাচার কখনো রাজা হতে পারে না, কোনোকালেই না;
যতোই বাধুক আটঘাট।


০৩/১০/২০২৩
চট্টগ্রাম।