আমি অন্ধের মতো অন্ধকারে টেবিল হাতড়ে
তড়িঘড়ি খুঁজলাম স্মৃতি,
স্পষ্ট দেখতে পেলাম কোথায় রেখেছি বোতল শিশি,
আর ক'টা ব্যথার বড়ি।
প্রচন্ড জ্বর কেঁপে থরথর যখন ভাঙলো ঘুম
আমাবস্যার অন্ধকারে ডুবে চাঁদ মধ্য গগন
দেখি বাজে ঠিক একটা বিশ, ঘড়িতে তখন,
দেখি বিছানার চাদর, বালিশ ভিজে চপচপ
ভরে আছে জল,
বা-পায়ের তরুণাস্থিও উঠেছে ফুলে
পাওনাদারের মতো দিয়ে ব্যথা সেজেছে ফুটবল।
তবু বসে নেই সে পৌঁছে গেছে নিউরনে দেয়নি নিষ্কৃতি
মস্তিষ্কে করে প্রচার ঘটিয়েছে বিস্তৃতি
জানি, এখন প্রয়োজন শুধু একটা নাশক একটু স্বস্তি।


খুড়িয়ে খুড়িয়ে পা
সরিয়ে অন্ধকার ততক্ষণে আলোটা হয়েছে জ্বালা
বসে খোলাও হয়েছে গায়ের ঘামে ভেজা জামা,
দেখে নিজে-ই নিজের কঙ্কাল দেহ মায়ার শরীর
মৌনতায় ভাসলাম ক্ষণকাল ঝরলো নীর!
পানি দিয়ে ঢকঢক বড়িটা গিলে চটপট
ধপাস করে শুয়ে আবারও হাসলাম
শব্দহীন হাসি,
চোখ বুঁজতেই দেখতে পেলাম শিয়রে দাঁড়িয়ে কেউ,
চেনা কারো উপস্থিতি।


১৫/০৬/২০২২
চট্টগ্রাম।