ঠিক দুপুর দুইটা
তোমার আসার কথা দেখে ঘড়ির কাঁটা।
আমি কিন্তু দাঁড়িয়ে আছি ঠিকি,
একটু একটু করে ঘামছি গরমে
তারচেয়ে বেশি টেনশনে।


দুপুর দুইটা পাঁচ
আহ্ গরম বেশি, সূর্য টা জানান দিচ্ছে আচ।
তুমি আসবে, হচ্ছে কিছুটা দেরি
তারাহুরো নেই আমার,
তুমি এলেই রিকসায় চড়ি।


দুপুর দুইটা বত্রিশ,
বাড়ছে অস্থিরতা তাপমাত্রা ছত্রিশ।
অসত্যিই কি তুমি আসবে,
নাকি বিপদ হলো, পরলেই কি জ্যামে?
আকাশটা তো ঠিকি আছে,
ছেয়ে যায়নি কালো মেঘে!


বেলা তখন চারটা আট-এ
তোমার নৌকায় উঠব বলে দাড়িয়ে কখন এই ঘাটে।
ঘন্টা দুই দেরি তেমন একটা নয় ভারি,
আমি এখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে, অপেক্ষায় তোমারি।
সারাটা দিন খেটে ফিরবে যখন রাত দুপুরে
আমি দরজায় দাঁড়িয়ে করব অপেক্ষা এমনি করে।
দেখছি কতগুলো লোভাতুর চোখ আছে তাকিয়ে
ভাবছে কখন দেবে আমায় হারিয়ে।


সন্ধা ঠিক সাতটা
জানি আসবে, বাজলো না হয় আটটা।
আকাশটা বোধ হয় সাজছে কালো মেঘে
বাহিরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, ভিতরে যাচ্ছি ঘ্যামে।
তুমি আসবে নিশ্চিত জানি,
করছো পরিক্ষা হয়তো এই একটুখানি।


রাত দশটা বত্রিশ,
ভিতরে জমছে ভয়ের বিষ।
না অমানুষের ভয়াল থাবার নয়, তোমার,
কাল যদি এইখানটায় আমায় না পাও,
দেখতে পাবোনা কখনোই আর
সেই কষ্টে ভীষণ কান্না পাচ্ছে আমার।


মধ্যরাত ঠিক বারোটা এক,
জানি তুমি না ডাকছে আত্মা আরেক।
ভালো থেকো,
সূর্য উঠা ভোরে আমাকে না খুঁজো।
যাবার সময় হয়েছে ঢের
এবার হবে অপেক্ষার শেষ প্রহর।
১৮/১২/২০২০