জমিদার বাড়ির দুয়ার ঘেঁষা জীর্ণ দেয়ালটায়
উড়ে এসে রোজ বসে থাকে যে অভুক্ত শকুন,
তুমি তো দেখো,
বাড়ির পাচক প্রসন্ন, দু'টাকা মাইনে পাওয়া বাড়ির ঝি রাধাও
তেড়ে এসে ঝাড়ু দেখিয়ে নিত্য দেয় অশ্রাব্য গালি,
বলে কিনা অলক্ষী, অপয়া!
বাড়ির ছোট-বড়ো আবাল বৃদ্ধবনিতা, এমন কি!
পাঁচ বছর বয়সের ছোট্ট শিশু, যার পাপ-পূন্য বোঝারই হয়নি বয়স
সেও ভাবে অশুচি অনাকাক্ষিত,
মাটির ঢেলা পাথর ছুড়ে করে ক্ষত-বিক্ষত।
জমিদার বাবুর বাড়ীর উচ্ছিষ্ট খাবার, চর্বি, মাংসের হাড়, মাছের কাটা
যথা সময়ে যথা নিয়মেই তবুও রোজ মেলে তার।
কিন্তু আমি যে পালা করে পাঁচ বেলা,
রোদ নেই বৃষ্টি নেই হাজিরা দেই তোমার দুয়ার
মাথা নুইয়ে ভিক্ষারীর মতো ভিক্ষা চাহি হাত পাতি
অঝোরে ঝরাই জলের ধারা
কই, আমার তো মেলে না হিসেব প্রাপ্তির খাতা!
কই, তোমার রহমত দয়ার বৃষ্টি
আমার তো ভেজায় না চোখ, চোখের পাতা!


১২/০৭/২০২৩
ভেলোর, ভারত।