কালের সাক্ষী এই মেঠো পথ গিয়াছে চলি
আমার বাড়ির সম্মুখেতে এঁকেবেঁকে কানাগলি।
আমি তার-ই ধারে গাছের তলে বসিয়া বাঁশের পাটাতনে
গোধূলির আলোয় দেখছি পথের চকচকে রুপোলী বালি।
আর ভাবছি এপথে গায়ে মাখিয়াছি কতো রাঙা ধূলি
রৌদ্দুরেই খেলিয়াছি দলবেঁধে কানামাছি হাতে ডাঙগুলি,
এপথেই হাতেখড়ি সাইকেল এখানে বসেই খেয়েছি পাকা বেল
সকালে পাকা ধানে কতো কিনিয়াছি কোল ভরিয়া খই মুড়ি।


অন্ধকারে আলো এপথই দেখিয়েছে কতো অন্ধ জনে
অধম আমি বৃষ্টিতে ভিজে এপথে কতো ফিরিয়াছি বাড়ি,
কতো গেছে গাড়িয়াল ভাই শুনাইয়া মধুর গান
চক্ষু সম্মুখে চালাইয়া তাহার পুরোনো গাড়ি।
কামার কুমোর ছেলে বুড়ো মোড়ল খুড়ো
সকলেই যায় হেঁটে এপথে নিত্য হাটে মাঠে,
বিকেলে ফিরে চতুষ্পদী পাল উড়াইয়া স্বর্ণ ধূলি
রমনীরা ঢেকে মুখ নাইতে যায় ঐ পুকুর ঘাটে।


তোমাকেও তুলিতে ঘরে গিয়েছিলাম এপথ ধরে
বহু ক্রোশ হাঁটিয়া ওপারের পদ্মা পাড়ে।
পালকিতে চড়িয়া উজান ছাড়িয়া প্রথম রাখিয়াছো চরণ
ভালোবাসিয়া এপথের ধূলি সন্তান সঙ্গী করে।


-০৩/০৩/২০২১