যে পুরুষ তিন’শ ফুট উঁচু পাথরের পাহাড় কেটে
বাইশ বছরে করেছে রাস্তা তোমার হাঁটার জন্যে
তার মস্তিষ্কের পরিপক্বতা নিয়ে তোমার সন্দেহ থাকতেই পারে,
তার ভালোবাসাটা নিয়ে কখনো নয়।
তুমি বোবা সমুদ্রে জিজ্ঞেস করো
কতো উত্তাল ঢেউ বধ মানিয়ে
তোমার জন্যে বাঁচতে বাঁচতে ফিরেছে মুঠো ভর্তি মুক্তো নিয়ে,
তোমার মুখের এক চিলতে হাসি দেখবে চেয়ে।
তার পাগলামো নিয়ে তোমার কটাক্ষতা জাগতেই পারে,
তার ভালোবাসাটা নিয়ে কি করে হয়?
যে পুরুষ তোমার জন্যে
বুক চিতিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে আগলে দাঁড়িয়ে
তোমার-ই শত্রু করেছে বিনাশ তোমাকে জিতিয়ে,
মৃত্যুর ভয় যে পায় না
আজ বলছো, সে ভালোবাসতে পারে না!
জীবন মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে থেকো
যে পুরুষ নিঃশব্দে তোমায় দেবে উপহার
তার সবচেয়ে কমদামি যকৃত, হৃদপিণ্ড কিংবা রক্তের বহর,
তার চামড়ার রং নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে
তার ভালোবাসা নিয়ে নয়।
যে পুরুষ সব বিকিয়ে তোমার জন্যে
কিনতে পারে লাখ টাকা দামে বন্য হাতি,
তুমি তাকে বোকা ভাবতে পারো,
ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহের তীর তুমি ছুড়তে পারো না।
বিশ্বাস না হয় তার বুকটা চিঁড়ে দেখো তারই বুকের ছাতি।
যে পুরুষ কাঠফাটা রোদ আর ঝড়ো হাওয়ায়
দিব্যি দাড়িয়ে
হাসতে হাসতে লোনা ঘাম ঝড়ায় আর কাচা পয়সা জমায়,
মাস শেষে তার সামর্থ নিয়ে তোমার প্রশ্ন জাগতেই পারে
তার ভালোবাসা নিয়ে কখনোই নয়।
যে পুরুষ দুপুরের খাবার সারে শুকনো চিড়ে আর গুড়ে
যে পুরুষ ট্রামে চড়ার পয়সা বাঁচিয়ে,
বাড়ি ফেরার সময় তোমার জন্যে ফুল কিনে আনতে পারে,
তার পছন্দ নিয়ে তোমার প্রশ্ন থাকতে পারে,
তার পবিত্র ভালোবাসা নিয়ে নয়।
যে পুরুষ তোমায় পেতে
বেহায়ার মতো দাড়ায় সকাল সন্ধা তোমার দূয়ারে,
উন্মুক্ত মঞ্চে সবার সামনে চায় মাফ করজোড়ে,
তার ব্যাক্তিত্ববোধ নিয়ে তোমার সংশয় থাকতেই পারে,
তার ভালোবাসাটাকে নিয়ে হয়।
২৯/১০/২০২০