সুদূরে মেঘ দেখিয়াই দূয়ার রোধিলে রোহিণী?
তাঁহার ভারী বর্ষণ আর তলোয়ার সম দক্ষিনা বায়ু
তোমার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করিবে বলিয়াই সচকিত হইলে!
একবারও তাঁহার অঝোর বারি,
তোমার নয়নে প্রশ্ন শুধাইলো না? ক্রন্দন মনে হইলো না?
এই যে তাঁহার গগন বিদারী ভয়ংকরী গর্জন
উহাকে কখনোই তোমার আর্তনাদ বলিয়া মনে ধরিলো না?
দেখিলে না নিজেকে ভাঙিয়া কে এমন রহিয়াছে অভাগা!
পার হয় বৈতরণী?
দেখিলে না ঝড়ের পরের স্নাত সিগ্ধ ধরনী
কেমন করিয়া থাকে সতেজ!
তাহাতে কার-ইবা রহিয়াছে অবদান?
তুমি কেবল তাঁহার কৃষ্ণ কালো রুপটাই দেখিলে!
মনে রাখিয়ো, চোখের কাজল কালোই হইয়া থাকে
কাননের কালো গোলাপও ধাঁধায় অন্তর চক্ষু সমান,
কাছে না আসিলে বন্ধু চেনা যায় না রোহিণী
দূর থাকিয়া দেখিলে সবেতেই কেবল বাড়ে ব্যবধান।
২০/০৪/২০২২
চট্টগ্রাম।
*রোহিণী নামটা আমি কোন উপন্যাসে যেনো পড়েছি, ঠিক মনে নেই।