তুমি তো মিথ্যে বলো,
বিশ্বাস করাই কঠিন তোমার মুখনিঃসৃত শব্দজট,
বাস্তবতায় যখন দেখি তুমি হাসো শয়তানের মতো
হিটলারের মতো তোমার রক্ত স্পৃহা,
তখন তোমার মিথ্যে বাণী আমার কানে ঠেকে উদ্ভট।
তুমি তো মিথ্যে বলো,
অবিরাম মিথ্যে বলে তোমার মুখ আর তার সঙ্গী দুই ঠোঁট
সত্যটা জানা যায় তাকালেই তোমার চোখের পাপড়ি।
কি করে ঘুমাও তুমি রোজ?
যখন আমার গোটা পৃথিবীটা লেলিহান দাবালনে জ্বলতে থাকে,
উৎকট গন্ধে বেড়িয়ে আসে পেটের নাড়িভুড়ি!
তুমি জিতে যেতে চাও জোর করে তোমার কথায়,
কন্ঠ রোধে দমিয়ে রাখতে চাও সত্যের একতায়,
যখন আমি বলি মিথ্যে তুমি, মিথ্যে তুমি তোমার মিথ্যাচারের ভাষায়।
আইনের মারপ্যাঁচে হাইকোর্টের দেয়াল টপকে যখন তুমি আনবে
মিথ্যের একটা জাল সনদ,
ভাবছো, বোকারা সব বাস করে তোমার পৃথিবীতে
আর আমার পৃথিবীতে বসাবে কর্তৃত্বের নতুন মসনদ!
সোনা রুপোয় আকাশসম প্রসাদেই হয় না প্রমান,
তুমি ভালোবাস পৃথিবীর সমান।
দোহাই তোমার আমার কাছে মিথ্যে বলো না,
সত্যের উপর মিথ্যের আসন মানায় না।
মিথ্যে আর ভালোবাসা কখনো একসাথে বাসা বাঁধে না।
যে তুমি খোলা চোখে আমার চোখের জল দেখতে পাও না,
কান্নার শব্দ তোমার কানে জাগায় না সত্যের বোধ
সেই তোমার মুখে ভালোবাসার শ্বাশত বাণী,
গনতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসকের হাসির মতো শোনায়।
তুমি আঁকতে পার জয়ের মিথ্যে আল্পনা তোমার কল্পানায়,
সে কেবল তোমার আত্ম অহামিকা আর মিথ্যে সান্ত্বনা,
তুমি নিমজ্জিত-ই হবে মিথ্যের বিষাক্ত ধোঁয়ায়, ভাসবে ভৎসনায়।
মিথ্যে বলে বাংলার সবকটা জনগণকে তুমি দিতে পার ধোকা,
মনে রেখো, একান্ন ভাগ গনতন্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই,
বানানো বোবা গনতন্ত্রও সাজানো যায়, হতে পারে বোকা।
০৯/১১/২০২০