আঁধার রাতে,বন্ধ ঘরে
নিকষ কালো অন্ধকারে
র​য়েছি বসে থম মেরে চুপ করে,
যেদিকে তাকাই সেদিকেই কালো কালো;
অন্ধ ঘরে কিভাবে আসবে আলো!
কারা যেন সব ঘিরে ধরে ঝুপ করে।


হঠাৎ ভাবি প্রদীপ টাকে জ্জ্বালি
উঠুক জেগে,ঘুচুক রাতের কালি-
যেমনি ভাবা ওমনি হলো কাজ​।
কোমল তেলে সলতে নিয়ে কোলে-
অন্ধকারে উঠলো প্রদীপ জ্জ্বলে,
রাত্রি তোমার রক্ষা নেই আজ​!


উন্মাদনা বাড়তে থাকে কবি;হঠাৎ,
দেওয়ালের উপর ওটা কিসের ছবি-
ভাবতে গিয়েও খটকা লাগে যেন​!
সজীব হোক​,হোকনা সেটা জ​ড়,
আমার ছায়া আমার থেকেও বড়ো!
গল্পটা আজ সত্যি হলো কেন​?


দেওয়াল ঘিরে ঘুরতে থাকে ভ​য়
প্রদীপ আলোয় জগ​ৎ ছায়াম​য়,
প্রেতব​ৎ হ​য়ে আমি যেন ভিনদেশী;
শান্ত হ​য়ে জ্জ্বলতে থাকে শিখা
শূন্য ঘরে সুদূর নীহারিকা,
আসল থেকে হয়ে যায় সুদ বেশি।


আমায় ঘিরে যেন হাজারটা চোখ​
তাকিয়ে থাকে অবিরাম,অপলক-
এই প্রেতলোক ভীষন সর্বনাশা;
ঘরের ভিতর কথা বলে নৈঃশব্দ​
বাইরে রাতও নিশ্চুপ,নিস্তব্ধ​-
নিরবতাই যেন তাদের ভাষা।


এমন সম​য় প্রদীপ যদি নেভে,
হঠাৎ এসে আমায় ঘিরে নেবে-
অশরীরী সব বুকভাঙা চিৎকারে;
ঘরের মধ্যে জমাট বাঁধে ভ​য়,
জীবন ছায়াও প্রবল অনিশ্চ​য়-
আবার ডুবে যাব অন্ধকারে।


রচনাকালঃ৬/০৩/০৯


(কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর কে শ্রদ্ধাঞ্জলি)