অ্যাই দিদি,
তুই ওখানে কেমন আছিস? আমরা সবাই ভালো।
তুই যেখানে গান গাইতিস, সেইখানে এক কালো-
পায়রা এসে ডিম পেড়েছে, পুঁচকি পুঁচকি সাদা;
বাবলু ঘোষের ছোটো ছেলেটা এত্ত বড় হাঁদা-
বলে কিনা, "কালো পায়রার সাদা ডিম হয় কখনো?"
তুইই বল এমন কথা কেউ শুনেছে কখনও!!
তুই কী জানিস চিলেকোঠায় দুটো টিঁয়া পাখি-
বাসা করেছে; মৌদি আমায় বললো তাদেরও নাকি
বাচ্ছা হবে, একটার পেট অনেকখানি ফোলা।
সবজে টিঁয়ার পেটের ভিতর সবুজ রঙ-এর ঝোলা!!
দিদিরে তুই ফিরবি কবে? তোর বয়েস কত হলো?
আমি আর পুঁটি গুনে দেখেছি, তুই তো সবে ষোলো।
বাপিটা কি বোকার হদ্দ! বোকাই আছে এখনও
বলে কিনা, তোর ওখানে বয়েস বাড়েনা কখনো!
বলনা তুই কোথায় থাকিস? ঐ আকাশের পারে?
প্রতিদিন রাতে মাঠের উপর দাঁড়িয়ে অন্ধকারে-
তোকে খুঁজি; তুই তবুও দিস না কোনো সাড়া,
বাপি বলে তুই নাকি দূর আকাশের তারা।
অ্যাই দিদি, তুই কী জানিস রোজ রাত্রে ছাদে
মা আমার জানিনা কেন গুমরে গুমরে কাঁদে।
বলনা তুই ফিরবি কবে? তোর অপেক্ষায়-
রোজ বিকেলে দাঁড়িয়ে থাকি পুবের বারান্দায়।
চিঠি গুলো পড়িস আমার? তুই তো কুঁড়ের রানী।
এই যে লিখছি এটারও উত্তর পাবোনা জানি।
ওই দিদি তুই আসবি কবে? এই বারেতে এলে-
আমি কিন্তু রাগ করব আমায় না নিয়ে গেলে।
টানবো তোর বিনুনি ধরে, করিস যদি ছল।
তুই যেখানে থাকিস ওখানে আমায় নিয়ে চল।
রাগ করলি দিদি তুই? তুই তো আমার সোনা-
তোকে ছাড়া মনের কথা কাউকে বলবো না।
সেই তো আবার দূরেই যাবি যতই কাছে আসিস,
এই নাকি তুই তোর ভাই কে এত্ত ভালোবাসিস!


আজকে যাওয়ার সময় হলো আর জানি না কবে-
আমার সাথে সোনা দিদির আবার দেখা হবে!!


                               চিঠির উত্তর চাই।
                                          ইতি
                                  তোর ভাই :)

(কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর "কাজলাদিদি" র অনুপ্রেরণায়)