পুড়ে গেছে রঙ্গিন জলসাঘর,
দগ্ধে মরেছে নাচুনের দল।
অগ্নি-সমিধে গুল মারা কবি,
পালিয়ে বেড়ায় ত্রিভুবন।
সাপের জোৎস্না ঘায়েল করেছে,
নেশায় বুঁদ হওয়া শহুরে বাবুরা।
ইটপাতা বিছানায় ঘুমন্ত শহর শায়িত-
নষ্ট দারিদ্রতায় আজ একাকী আমরা।

মুখপোড়া খালি বোতলে গরল ভরে-
পেটে ঘুমন্ত বিষ ঢালে কবি...
চিনেবাদামের খোসায় রক্ত বিলিয়ে,
ঐ দ্যাখ নাচে উত্তরপন্থী ছবি।
ঘাসবীজে পায়রাগুলো ঠোটে নিয়ে দুটো দানা-
উদরে ফেলে উড়ে চলে আকাশমুখী।
নগ্ন শরীরে পুষ্যিপুত্তুর ঢলাঢলি করে,
সে আজ কুমারী রক্তে ভিজে মহাসুখী।

তন্তুজাল ছিঁড়ে বেরুনো কিছু নবনবীন কিশলয়,
অঙ্কুরেই মরে হাহাকার করে ফেরে ভুবনময়।
নক্ষত্রভরা রাতে ঐ ছেলেছোকরার সমাধিতে...
আমি স্বাধীনতা আজ জ্বলে-পুড়ে মরি।

সময় আজো আঁচলে মুখ ঢাকে...
খিস্তি উড়িয়ে হন্যে হয়ে আজ সে উন্মত্ত...
                       খুনের নেশায় মত্ত...