ঊনিশ দশক পেরিয়ে গেল
বিশের ঘরে জীবনধারা,
কত প্রাপ্তি, শত শূন্যতা!
কত চিরকুট ভরা শোকগাথা!
কত পরিচয়,কত অবিনয়
শত ভিড়ের মাঝের প্রিয়মুখ-
স্বপ্নভঙ্গে হারিয়েছে কত ক্লান্তশ্রান্ত জীর্ণ মুখ।


ঊনিশের দেয়া প্রতিশ্রুতি;
মোটিভেশনাল চিরকুট,
কত আবেগের এপিটাফ হলো
নৈসর্গিক অস্ফুট।
সায়ানাইড ভরা মিষ্টতা আর
স্নিগ্ধ চোখের মুগ্ধতা,
ঊনিশে দেয়া বিষের ভারে,
বিশের ঘর পেরোলো না।


ঊনিশের যত-
অভ্যাস,ছেলেমানুষী-বাচ্চামি ;
বিশের ঘরে অন্য মানুষ বলবে কিন্তু ন্যাকামি।
ঊনিশের প্রিয় কললিস্ট,যত ইনবক্সের দীর্ঘশ্বাস ;
বিশ দশকের নতুন রূপে বেওয়ারিশ সব ছাইপাশ!


ঊনিশের গড়া স্মৃতিস্মারক,
দেয়া উপহার,চেনা বাসস্টপ
ড্রেস-অ্যাড্রেস,চেনা হাসিমুখ;
প্রিয় পোর্ট্রেইট,ডায়েরির শেষ অংশ,স্মৃতিচারণীয় পথ !
অভিযোগ,স্পর্শ ; প্রিয় ভ্রমণ সব-
বিশের ঘরে ধূসর হবে।
   ঊনিশ বছর পরের মানুষ,
আবেগ ছাড়া রোবট হলেও,
বিশের আগের এই বছরের
কিছু মানুষ একই রবে।


হঠাৎ করেই কানের কাছে-
প্রিয় কণ্ঠের অলীক ফোনে
নস্টালজিয়া,হারিয়ে যাওয়া পথ;
ঊনিশের হিসেব শেষে,
বিশের কালে ইম্যাচিউর সব।


ঊনিশের শেষ চিরকুট,
প্রিয় মানুষেরা সব ভালো থাক;
যত মান অভিমান দীর্ঘশ্বাস-
শেষ সিগারেটে উড়ে যাক।
     ঊনিশের যত হাসি-কান্না,
প্রাপ্তি,বিয়োগ,শোকগাথা ;
বিশের পরেও চিরকাল হবে
স্মৃতিফলক আর এপিটাফ।।