বসন্তের সন্ধ্যাকাশ পল্লবে পল্লবে দোলা লাগে
দূর হতে শুধু বারে বারে দেখিতে আঁখি দুই জাগে।
বেলাশেষে দিবসের তীরে ওগো ক্লান্ত আমি
অনুভবি তারে প্রাণে প্রাণে মোর প্রিয় জন্মভূমি।
নিঃশব্দ নীরব গানে গানে শুধু কান্নার সুর
কোলাহল হলে অবসান রইবো না আর বেশি দূর।
তোমারে ভুলিনি জন্মভূমি আমি বঞ্চিত সর্বহারা
চোখে চোখে সত্যিকারে হাসা কাঁদার পাহারা।
আমার নয়ন ভরে তোমার সে প্রেম উদ্ভাসিয়া উঠে
প্রহরে প্রহরে নিত্য নব নব রূপে হাসিয়া উঠে ঠোঁটে।
ঘুম হতে জেগে শিশির সিক্ত শেফালী ফুল দেখে
কাঁদিয়া ফিরেছি সাঁঝের আলোতে ধূলো গায় মেখে।
কত না মধুর ছবি ফুটিয়া উঠিছে আঁখির পাতায়
কল-কলতানে উছসি উঠিছে নদী স্মৃতির খেলায়।
মধুর শীতের ছোঁয়ায় নুতন গাছের খেজুর রসে
হেমন্ত তার শিশির ভেজা বাতাস বইছে ঘাসে।
ছোট ছেলে আমি গ্রীষ্মের দুপুরে খেলেছি কত খেলা
বেঁধেছি ঘর দুপুরে সন্ধ্যায় স্বপ্নে সাজিয়েছি বেলা।
দুচোখে আছে জমা মেঘের স্মৃতি তাকায় আশেপাশে
মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ায় দূরের বাতাসে।

গেন্তিং হাইল্যান্ড,পাহাং, মালয়েশিয়া