ধর্মান্ধতাই ধর্ম উশৃঙ্খলতা কভু কাম্য নয়
চির সভ্য সুন্দর মানবিক হউক বিশ্বময়,
জঙ্গিবাদ উশৃঙ্খলতা রাজনৈতিক সৃষ্টি,
এই সব নোংরামি নয় কোন ধর্মের কৃষ্টি।


ভেবে দ্যাখো নবী রসুল গনেরা কী কখনো
অনাহুত দাঙ্গা কভু বাঁধিয়েছেন কী কোন?
ধর্মান্ধ হলো আপন ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস
নিজ প্রভুর প্রতিটি বানী ধার্মিকের নিশ্বাস।


লোক দেখানো ধর্ম র্কম করে যান যিনি
সংসারে সদা ছলনার জালে মত্ত তিনি,
ধর্মান্ধ বলে মিছে কাকে দিচ্ছ গালি এত?
ভেবে দ্যাখো করেছো প্রভুর হদয় ক্ষত।


কিছু মানবে আর কিছু নিজেই দিবে ছাড়
বলবে কোথায় পেলে তুমি এই অধিকার?
সহজ সরল জীবনের বিধান দিলেন যিনি
বল? তুমি কী তাঁহার চাইতেও ঢের জ্ঞানী?


দ্যাখো,সত্যিকারের ধর্ম যদি করতে চাও
আপন ধর্মের হুকুম সদা মাথা পেতে নাও।
আপন প্রবৃত্তির বাইরে গেলে কোন বিধান
মানতে চাননা যিনি তাহার কলুষিত প্রাণ।


নিজ ধর্মের প্রতি সদা বিশ্বাসী নয় যে জন
মুনাফিক সেই জন মিছেই তাহার ধর্ম পণ,
ধর্মান্ধতাই ধর্ম উশৃঙ্খলতা কভু কাম্য নয়
চির সভ্য সুন্দর মানবিক হউক বিশ্বময়।


=====================


বাণীঃ- একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার,আপনি যে ধর্মের অনুসারী হউনা কেন আপনাকে আবশ্যই
নিজ ধর্মকে মাথা পেতে নিতেই হবে যদি আপনি ধর্মের কর্ম করতে চান। যিনি বা যাহারা আপন ধর্মের হুকুম আহকাম মেনে চলেন তারাই ধার্মিক, যারা ধার্মিক তারাই ধর্মান্ধ, প্রভুর বিধান বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়াই হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে ধর্মান্ধতা,এর মানে এই নয় যে পর ধর্মকে অশ্রদ্ধা বা কষ্ট দেওয়া আর এই ধর্মান্ধতা সকল ধর্মের লোকেদেরই হওয়া উচিত বলে আমি অন্তত মনে করি।আপন ধর্মে রক্ষণশীলতাই ধর্মান্ধতা বা গোঁড়ামি,এটা প্রকৃত সকলের জন্যই কল্যানের অথচ আমরা ভালো একটা শব্দকে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করছি,হে আল্লাহ আমাদের সকলকেই সঠিক জ্ঞান দান করুন আমিন।