কে জানে হায়
কোন্ বিরহ বুকে তার
কোন্ অভিমানের তীব্রতায় হয়েছে পাথর
হয়তো তাই ক্ষয়ে যাচ্ছে নিয়ত অল্প অল্প কোরে
কার অভিশাপে অজানিতেই হয়েছে নিথর


টিয়া পাখিরাও পাল্টিয়ে নিলো আপন গতিপথ
কালের পরিক্রমায় মিলন মেলা পরিণত শ্মশানে
বিস্তীর্ণ এলাকার হৈ-হুল্লোড় সকলি গিয়াছে টুটি
পেছন ফিরে চায় না'কো আর কেউ


ঐতিহ্যের স্বাক্ষর প্রিয় শিমুল তলা
বক্ষে তার হাজারো প্রেমিক যুগলের স্মৃতিচিহ্ন
শিশু কিশোরদের আনন্দের চারণভূমি
ক্লান্ত কৃষকের দেহ মনে প্রশান্তির ধারা ছায়া সুশীতল
অথচ কালের পরিক্রমায় সে নিজেই ক্ষত বিক্ষত


আমার শৈশব কেটেছে কতো ছায়া তলে তার
কতো ওঠানামার খেলা খেলেছি অবারিত
অনাহুত ছিঁড়েছি কতো গন্ধ বিহীন শিমুলের ফুল
কতো টিয়া পাখির ছানার সাথে খেলেছি মধ্যদুপুর


কালের ফেরে
জনশূন্য হয়ে রইলো পড়ে জনারণ্য প্রিয় শিমুল তলা


পড়ন্ত বেলায় পাশে নেই কেউ
এবার প্রতীক্ষা শুধুই নিঃশেষ হয়ে যাবার
প্রতিদিন শুনি বিদায়ের করুণ আর্তি মাখা সুর
আসেনা কেউ ভালোবাসার টানে আগের মতোন
ভগ্নদেহে আজও মাথা উঁচু করে খুঁজে যেনো কারে
বিদায় ক্ষণে হয়তো চায় পেতে কারো আলিঙ্গন
কে জানে শেষান্তে কার ছোঁয়া যাচে একান্ত কোরে


ওঠে সুর্য আসে ভোর হয়না প্রতীক্ষার অবসান  
দিন গুনে শেষের বাঁশির ফুরোবে খেলা কান্নাহাসির
বিরহাতুর মননে নিঃসঙ্গতায় কাটায় প্রতিটি ক্ষণ


শেষের বাঁশি হয়তো বাজবে এবার
নীরব অভিমানে ব্যথিত মননে নিস্তেজ হয়ে তাই
অসীমের পানে চেয়ে যাচ্ছে গুনে দিন মৃত্যুর প্রতীক্ষায়