ওগো প্রণয়িনী,
তুমিও হয়তো ভাবছো আমারি মতোন
আমাদের প্রথম দ্যাখা,দুজনেরই লাজুক মুখশ্রী
চোখে চোখ রাখার অনুভূতি আজো জাগায় শিহরণ!


হলো সব কিছু ঠিকঠাক,মুগ্ধতার স্রোত বাঁধহারা
এলো স্বীকৃতি,জনমের বন্ধন পবিত্রতার,
খাঁখাঁ রোদ্দুরে উত্তপ্ত মরুর বুকে এলো যেনো-
শ্রাবণ রাতের প্রশান্তির বারিধারা।


এমনই একটি নিশির,
প্রতীক্ষায় গুনেছি কতো তিথীর
দু’চোখে স্বপ্ন এঁকেছি কতো অগণিত প্রহর
উত্তাপে পুড়িছে তপ্ত বালুচর
কতো চেয়ে থেকেছি ঐ দূর নীলিমায়
মন ছুটেছে কতো উদ্দাম ঝড়ে
আকাশ আর জমিনের লুটোপুটি খেলায়
কাঙ্ক্ষিত প্রেমের তৃপ্তির মোহনায়
নব উদ্যমে ছুটি বারবার
যেখানে মন হারায় দিগন্তের শেষ সীমানায়
এমনি ক্ষণের ছোঁয়া পেতে রয়েছি অস্থির।


করেছি খোঁজ শুধু
মমতায় পূর্ণ ছোট্ট ঘর শান্ত নিবিড়
একান্তে শুধু দুজনাতে ছিটাবো আবির
পেয়েছি পরানে সুখের পরশ,তোমারি ছোঁয়ায়
মন ছুঁয়েছে মন,মধুর আলিঙ্গন
জনমের অপূর্ণতা পেলো পূর্ণতার স্বাদ
আঁধার কুটিরে যেন এক ফালি চাঁদ
এমন তৃপ্ততা চাইনি হারাতে কভু।


তবু!
তবু ছুটি জীবিকার টানে
অনিচ্ছায় মেনে নিতে হয় দূর প্রবাস
আজ মনে হয় ভালোই ছিলাম একাকী মরুর দেশে
কেনো জড়ালাম আর একটা জীবন?
নিজে পুড়ি সে হয়েছে সওয়া বহুকাল, কিন্তু-
তুমি কী সইতে পারবে এ দহন জ্বালা?
পাবো কি কদাপি তোমার ক্ষমা?
পারবে কী দিতে ঠাঁই ও বুকের শীতল ঘরে?
ফের যদি আসি ফিরে তোমারি মায়ার টানে……