তখন তোমার পেরোলো পনেরো আমার আঠারো
পরিবার জুড়ে বন্ধন আমাদের হয়নি দেখা কারো,
হয়নি জানা একে অপরের তবু একই সুতোয় গাঁথা
নয়নে নয়নে প্রথম প্রণয়ে আনমনে হলো যত কথা।


ওগো বঁধুয়া তোমার ঐ কাজলা কালো আঁখি যুগল
উদাস পরানে আমার গাঁথিল সুখ বিহ্বল মায়া প্রবল,
তোমার খোলা এলো চুলের সুরভি করিল হৃদ শীতল
হৃদয়ে আমার জাগালে বঁধুয়া তীব্র কামনা প্রাণ চঞ্চল।


প্রথম যবে প্রিয়া আসলে কাছে খুশিতে প্রাণ চনমন
তোমার মিষ্টি মেদুর ছোঁয়ায় জাগে হৃদে নব শিহরণ,
অচেনা দুটি প্রাণের ইতস্ততায় হৃদয়ে বাড়ায় কম্পন
বাকহীন দুই'জনা নিয়মের মায়াজালে বাসর শয়ন।


কিছু লাজ কিছু শংকা উভয়েরই দ্বিধান্বিত মন প্রাণ
বয়সের অপরিপক্কতার প্রাণেও লাগে দোলা অফুরান,
তবুও ঐশ্বরিক মায়ার টানে আকৃষ্ট আশ্লেষে দুজনায়
রুধির উত্তাল তরঙ্গে ঢেউ খেলে বেসামাল কামনায়।


লাজে নত তনু খানি হয়নি'ক কারো ভালোবাসি বলা
তবুও হেসে খেলে আনন্দে আহ্লাদে কাটে সারা বেলা,
মুখে না বলেও আত্মায় আত্মায় চলে প্রেমময় খেলা
কৈশোর পেরোনোর দুটি প্রাণের শুরু অনন্ত পথচলা।


সেই থেকেই এক সাথে যাই বেয়ে কান্না হাসির ভেলা
দুঃখ সুখে সর্বাবস্থায় রয় জড়িয়ে আজন্ম প্রেমের খেলা।