১৮৫.
ভাষণের পর চলছে ভাষণ শোষণনীতির কারসাজিতে
জাতের মণ্ডু নিচ্ছে গেঁথে ছলচাতুরীর ঐ বড়শিতে,
খোশমেজাজে যাচ্ছে ভালো আমলা নেতার দিনটি মধুর
দীনহীনের ভাগ্যের সুরুজ ডুবছে আঁধার তলানিতে।

১৮৬.
নাড়ছে ঘন্টা তোর দ্বারে আজ পার কি পাবি চোখবুজি
পাপের ঘড়া পূর্ণ হলেই যমের ব্যাটায় লয় খুঁজি,
তোর সে প্রাসাদ যাবেই ভেসে করবি সে-দিন হাহাকার
লুটের সম্পদ যতোই বাড়াস আসল ঘরেই নেই পুঁজি।


১৮৭.
এই গরীবের দুর্দিনে আজ করছিস যারা তিরস্কার
বিধির বিধান পাল্টে দিবি আছে এমন সাধ্যি কার,
আজ যে মজুর কাল সে রাজা বলছেন প্রভু স্বয়ং তাই
নিপিড়ীতের আসলে সুদিন করবি তোরাই হাহাকার।


১৮৮.
বন্ধ কর'রে পাপ অভিলাষ ধর'রে এবার সরল পথ
ভালো কর্মে দিস্ না'রে আর নষ্ট মনের অভিমত,
রাষ্ট্র সমাজ সব খানেতেই নেক মানুষের চাই প্রসার
সকল কল্যাণ আসবে সেদিন সবাই যখন হবো সৎ।


১৮৯.
পরের ভালো'য় চোখের জ্বলন ক্যামনে তাহার হয় ভালো
জ্ঞান বিলায় সে মুখোশ পড়ে অন্তরে তার রয় কালো
জীবের সেরা হয়েও সে যে বুঝলো না তার কর্ম কি?
আসলে আঁধার তার জীবনে দ্যাখতে পাবে নাই আলো,


১৯০.
মিধিলি তুই অসময়ে ক্যান যে দিলি হানা
পাষাণ দিলে করবি সাবাড় ছিলনা'তো জানা,
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এই জ্বালাতেই মরি
এমনিতেই পথ দ্যাখা জটিল করলি আরও কানা।