২১.
তোমার আঁখির নীরব বাতাবরণে বিমুগ্ধ নয়ন
ঐ পদ্মআঁখির মুগ্ধতার ছোঁয়ায় পুলকিত মনন।
তোমার বলা ছোট্ট কথাটিও আলোড়ন করে হৃদে
নীরব পায়ের হেঁটে চলায় করলে আজি হৃদ হরণ।
২২.
চলিতে পথে সখীদের সাথে চলো উচ্ছল কলরবে
চোখ সরানো দায় কেশ কৃষ্ণকায় প্রশান্তি অনুভবে,
রই পথের ধারে যদি অগোচরে আঁখি মিলে আঁখিতে
যদি যায় দিন বেলা আশাহীন মরমে মরিব ভবে।
২৩.
এ কোন দহন জ্বলে অনুক্ষণ কীসে হয় হৃদ শীতল
যত দূরে যাই তৃষ্ণা বাড়ে তাই জ্বলে বিরহ অনল,
মিষ্টি হাসির দুষ্ট ইশারায় প্রফুল্ল সদা চঞ্চল প্রাণ
আঁখির আড়াল হলে যায় দিন বিফলে চোখ ছলছল।
২৪.
বুঝনা কেন আর হৃদ হতাশার কাঁদে প্রাণ তুমি বিহনে
পিপাসিত প্রাণে স্বর্গসুখ আনে হেরিয়া সেই প্রিয় আননে,
এসো হে সখি গভীর হলো নিশী আনজনে দেখিবেনা
সাজিয়ে প্রেমোডালা নিরলে একেলা রই কুজ্ঞবনে।
২৫
নিস্তব্ধ চারি দ্বার ঘনকৃষ্ণ আঁধার আনমনে যাই ডেকে
প্রিয়হীন রজনী কাটেনা সজনি এসো এই পথ বাঁকে,
কলঙ্ক জড়ায়ে কুলমান হারায়ে শরাব পিয়ে রই পড়ি
পিপাসিত প্রাণে জুড়াই জ্বালা যাই বলে বলুক লোকে।