মোবাইলে এলার্ম দেওয়া থাকে বরাবরই
ঠিক সকাল সাতটায়,তার প্রয়োজন হলোনা আজ,      
নিত্যকার বেসুরো কর্কশ চিৎকারের আগেই ঘুম        
ভেঙে যায় কাহারবা তালে চৌচালা টিনের
চালে প্রেয়সী বৃষ্টির নৃত্যের ছন্দে,ঘুমের ঘোর
তখনো কাটেনি আরও ঘন্টা খানেক ঘুমোতে
পারলে ভালো হতো এটা নিশ্চিত….


জানালা খোলে বাইরে তাকিয়ে রই অপলক
ভোরের স্নিগ্ধ সকাল,লোকজন নেই খুব একটা,
আষাঢ়ের ঘন ঢল,ঝমাঝম মধুর শব্দে মন হারায়!


কৈশোরে ফেলা আসা বৃষ্টিভেজা দুপুর,স্কুলের
খেলার মাঠে ফুটবল নিয়ে ছোটাছুটি,আবার
ঘন-বরষায় নিমগ্ন ব্রহ্মপুত্রের বুকে দাপাদাপি,
আজো স্পষ্ট ভাসে হৃদপটে সেই কিশোরীর -
বৃষ্টি ভেজা চুলের ফাঁকে লাজনত মধুর হাসি…!


নিজেকে খুঁজছি অতীতের তীরে
ভাবতেও লাগছে ভালো,বৃষ্টির দুপুরে সাপলুডু
খেলা,এমন সময় এলার্ম বেজে জানান দিয়ে গেল    
মেঘের ভেলায় চড়ে বৃষ্টির দেশে ঘুরতে যাওয়া
মার্কেটিং পিপলস এর কাজ নয়,কি আর করা?
সাতেই বাজলো বারোটা,শুরু হলো বৃষ্টি মাথায়
করেই নিয়মের পথচলা………!