আর কতো দাঁড়িয়ে থাকা?
কতো আর প্রতীক্ষার দহনে পুড়া?


সেই কবে……!
সেই কবে বলে গিয়েছিলে আসবে ফিরে
প্রিয় ব্রহ্মপুত্রের বুক ভাসিয়ে প্রথম ঊর্মি দোলায়
একঝাঁক হাঁসেদের মাঝে শ্বেতশুভ্র হংসীনি রূপে
অথবা অতলান্ত হতে উঠে আসবে ডলফিনে চড়ে!


সেই কবে……!
সেই কবে বলে গিয়েছিলে আসবে ফিরে
চৈত্রীর তীব্র খরা শেষে বৈশাখীর তাণ্ডব মাড়িয়ে-
ভিজিয়ে দেবার কথাই ছিলো তৃষালু অবনীর বুক
সেই যে গেলে মাঝে চলে গেলো শত-সহস্র যুগ...!


এক বুক আশা নিয়ে আজো দিনগুণি
আষাঢ় শ্রাবণে অসার ছিল যতো তারাও পেলো প্রাণ  
শারত যৌবনার দোলায়িত লীলা,চঞ্চল ব্রহ্মপুত্র পার
কত প্রেমিক যুগল বক্ষে আমার রেখে গেলো স্বাক্ষর
আসবে বলে সেই যে গেলে আসলে না ফিরে আর!


সেই কবে……!
সেই কবে বলে গিয়েছিলে আসবে ফিরে
হিম কুহেলির তীব্রতা দুমড়েমুচড়ে আসবে আবার-
রঙিন প্রভাতের অগ্রণী হয়ে
ছিটাবে আলোর ফোয়ারা দিগ্বিদিক
পুড়ে ভষ্ম হবে যাতনা যত
প্রসারিত করবে বন্ধুত্বের হাত,শুকিয়ে দেবে-
অনন্ত প্রহরের ছিলো যত বেদনার ক্ষত!


আর কতো দাঁড়িয়ে থাকা?
কতো আর প্রতীক্ষার দহনে পুড়া?


সেই কবে……!
সেই কবে বলে গিয়েছিলে আসবে ফিরে
জোনাক জ্বলা গভীর রজনীর লোকচক্ষুর অন্তরালে
লাগবে দোলা যখন ফাগুন বনের গায়
ফুলের বুকে ভ্রমরের গুঞ্জরণে
চৈতালী চাঁদের সাথে কব কথা দুজনে মিলে
সেই কবে কথা দিয়েছিলে,সেই কবে……!